ঢাকায় সড়ক অবরোধ করে গণ অভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ

সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন দাবি

| বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন গণ অভ্যুত্থানে আহত ও চিকিৎসাধীন ছাত্রজনতা। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে শ্যামলীআগারগাঁও সংযোগ সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা যান চলাচল বন্ধ করে দেন, যা রাত ১০টাতেও অব্যাহত ছিল। রাত ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধেও তারা রাস্তা ছাড়েননি। খবর বিডিনিউজের।

বিক্ষোভকারীরা সমন্বয়ক থেকে অন্তর্র্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়া নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদকে সেখানে আসার দাবি জানিয়েছেন। তারা সেখানে না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে সরবেন না বলে ঘোষণা দেন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠাননিটোরে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন এসব আহত ব্যক্তি রাত ১০টার সময়েও সড়কে অবস্থান করছিলেন।

এর আগে রাত পৌনে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ অবরোধ স্থলে এসে তাদের কর্মসূচি থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তবে আহত ব্যক্তিরা উপদেষ্টাদের সেখানে উপস্থিত হওয়ার দাবিতে অটল থাকেন। ঘণ্টা দেড়েক সেখানে থাকার পর হাসনাতকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীরা বলছেন, যাওয়ার সময় হাসনাত তাদেরকে বলেছেন তিনি উপদেষ্টাদের আনতে যাচ্ছেন। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে জুলাইআগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার সময় সব আহতদের দেখতে না যাওয়ায় তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তারা উপদেষ্টার গাড়ি আটকে দেন। পরে কিছু সময় উপদেষ্টা ওই হাসপাতাল ত্যাগ করলে বেলা ১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শ্যামলী থেকে আগারগাঁও যাওয়ার সড়কে অবস্থান নেন। সেসময় বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল উপদেষ্টা এবং সমন্বয়করা এসে তাদের দাবি মেনে নিলে রাস্তা ছাড়বেন তারা। উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর তারা পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটক বরাবর রাস্তাটির দুই পাশ আটকে দেয়। রাস্তার উপর হুইল চেয়ার ক্রাচ হাতে কয়েকজন আহতকে বসে থাকতে দেখা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপৃথিবীকে বাঁচাতে ‘থ্রি জিরো’ ধারণা বাস্তবায়নের আহ্বান ইউনূসের
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা