ঢাকায় এসি বিস্ফোরণে মহেশখালীর একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যু

অপর দুইজনের অবস্থাও সংকটাপন্ন তারা গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে

মহেশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৪ জুন, ২০২৪ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ঢাকায় ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন মহেশখালীর মাতারবাড়ি তিতামাঝির পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে রক্সি আক্তার। বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। সেই বাসায় এসি বিস্ফোরণে রক্সি আক্তারসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। গত ১০ জুন এ ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয় আব্দুল মান্নান (৫৫), তার দুই মেয়ে রক্সি আক্তার (২৩), ফুতু আক্তার (২০) এবং রক্সি আক্তারের শিশু পুত্র আয়ান ()। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, আব্দুল মান্নানের মেয়ে ফুতু আক্তার ও নাতি আয়ান। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ফুতু আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত বুধবার তিন বছর বয়সী শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। বাবা আব্দুল মান্নান ও মেয়ে রক্সি আক্তারের অবস্থাও সংকটাপন্ন।

নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানান, মাতারবাড়ির তিতামাঝির পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে রক্সি আক্তারের মস্তিষ্কে টিউমারের অস্ত্রোপচার করাতেই ঢাকায় যান একই পরিবারের ৪ সদস্য। সেখানে গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।রক্সির দেবর আহমদ মোস্তফা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ভাড়া নেওয়া বাসাটিতে বিদ্যুৎ ছিল না, পরে বিদ্যুৎ এলে হঠাৎ এসি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই কক্ষে থাকা ৪ জনই দগ্ধ হয়। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। প্রথমে তাদের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার বলেন, ঢাকায় এসি বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফুতু আক্তার ও শিশু আয়ান মারা গেছে। বাকি ২ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গতকাল রাত সাড়ে ৯ টায় মহেশখালীকুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে নিহতদের দাফন কার্য সম্পন্নের জন্য মহেশখালী প্রেরণ ও চিকিৎসাধীন আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাফ নদীতে মিয়ানমারের সীমায় জাহাজ, গোলাগুলিতে আতঙ্ক
পরবর্তী নিবন্ধসুপার এইটের আরো কাছে বাংলাদেশ