ঢাকাকে হারিয়ে সিলেটের চারে চার

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

থামানো যাচ্ছেনা সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়রথ। একই সাথে থামছেনা তরুণ তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটও। এবারের বিপিএলে টানা চার ম্যাচ জিতে নিয়েছে সিলেট। আর চার ম্যাচের তিনটিতেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন হৃদয়। এক ম্যাচে ব্যাট করতে নামতে হয়নি। টানা তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে হ্যাটট্রিক করলেন হৃদয়। আর ৮ মাস পর ক্রিকেট মাঠে নেমে অধিনায়ক মাশরাফিও যেন তরুণে পরিণত হয়েছে। তিনিও যেন সমান তালে খেলছেন তরুণদের সাথে। যার ফলশ্রুতিতে টানা চার ম্যাচে জিতে একেবারে অজেয় থাকল সিলেট স্ট্রাইকার্স। গতকাল ৬৩ রানে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়েছে মাশরাফির দল। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট স্ট্রাইকার্স ১৭ রানে মোহাম্মদ হারিসকে হারায়। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয় মিলে যোগ করেন ৮৮ রান। ৩৯ বলে ৭টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রান করে শান্ত ফিরলে ভাঙে এজুটি। এরপর জাকির হাসান বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়কে। মাত্র ১০ রান করে ফিরেন জাকির। এরপর দলকে একাই টেনে নিয়ে গেছেন তৌহিদ হৃদয়। পরে তাকে কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারেনি। ফলে অনেকটা মারমুখি হয়ে খেলেছেন এই তরুণ। তুলে নিয়েছেন টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি। তবে পরের তিন ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। বরিশালের বিপক্ষে ৫৫ এবং কুমিল্লার বিপক্ষে ৫৬ রানের পর গতকাল সিলেটের বিপক্ষে করেছেন ৮৪ রান। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০১ রান করে সিলেট। যা এবারের বিপিএলে প্রথম দুইশ রানের দলীয় স্কোর। তৌহিদ হৃদয় তার ৪৬ বলের ইনিংসটিতে ৫টি চারের পাশাপাশি ৫টি ছক্কার মার মেরেছেন। শেষ দিকে থিসারা পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১১ রান। ঢাকা ডমিনেটর্সেল পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন আল আমিন হোসেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা ডমিনেটর্স। ১০ রান যোগ হতেই ফিরেন এবারের বিপিএলে প্রথম খেলতে নামা পাকিস্তানী ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। মাশরাফির বলে আকবর আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে রানের খাতাও খুলতে পারেনি শেহজাদ।

এরপর আরেক ওপেনার দিলশান মুনাবিরাকে ফেরান মোহাম্মদ আমির। ১০ বলে ১২ রান করেন তিনি। ১২ রানে নেই দুই ওপেনার। ব্যর্থ হলেন সৌম্য সরকারও। মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সৌম্য ফিরেন মাত্র ৬ রান করে। চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েছিলেন মিথুন এবং নাসির । ৪২ রান করা মিথুন ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। এরপর দ্রুত ফিরেন ওসমান গনি। রানের খাতা খোলার আগে ফিরেন আরিফুল হক। পরের ওভারে ফিরেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে ফিরেন নাসির হোসেন। আর তাতেই ঢাকার পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাইজিং স্টার ক্লাবের ক্রিকেট কমিটি গঠিত
পরবর্তী নিবন্ধমিরাজের অল আউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় বরিশালের