দুর্দান্ত ঢাকাকে ১০ রানে হারিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠে এসেছে। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। আর রান তাড়ায় নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে ঢাকা। প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা ১১ ম্যাচ হেরে এবারের বিপিএল শেষ করেছে ঢাকা। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ৬ জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। গতকাল শনিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথম বলেই ওপেনার সৈকত আলি আউট হয়ে যান। স্লিপে শন উইলিয়ামসের হাতে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর চতুর্থ ওভারের শেষ বলে গিয়ে জশ ব্রাউনকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। ১৪ বলে ১১ রান করেন ব্রাউন। ২৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরেন টম ব্রুস ও তানজিদ হাসান তামিম। ৬৮ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা। তাদের জুটি ভাঙেন উইলিয়ামস। তার বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৮ রান করে আউট হন ব্রুস। চট্টগ্রামের পরের ব্যাটাররা কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। তানজিদ হাসান একপ্রান্ত আগলে রেখে আউট হন ১৯তম ওভারে। ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৫১ বলে ৭০ রান করেন তানজিদ। ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শরিফুল, দুটি উইকেট নেন তাসকিনও। তবে ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৮ রান। একটি করে উইকেট পান মোসাদ্দেক ও উইলিয়ামস।
রান তাড়ায় নেমে ঢাকার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। শুভাগত হোম এক ওভারের ভেতর তুলে নেন অ্যাডাম রোসিংটন ও সাব্বির হোসেনের উইকেট। ওপেনার নাঈম শেখ ৩৫ বলে ২৯ রান করেন। ঢাকার হয়ে রান করেন অ্যালেঙ রস, পুরো টুর্নামেন্টের মতোই। ৪৪ বলে ৫৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষদিকে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ইরফান শুক্কুর ও মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ দুই ওভারে ৩৩ রান দরকার ছিল। বিলাল খানের করা ১৯তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ ওভারে ২২ রানের সমীকরণে আনেন ইরফান শুক্কুর। শেষ ওভারের প্রথম বলে চার হাঁকান মোসাদ্দেকও। কিন্তু শেষ অবধি আর ভালো শেষ হয়নি ঢাকার। শেষ ওভারে ১১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ৫ চারে ১৮ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ৮ বলে ১৪ রান করেন ইরফান। তিন ওভারে ১২ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শুভাগত। একটি করে উইকেট পান বিলাল খান, সালাউদ্দিন শাকিল ও শহিদুল ইসলাম। ম্যাচ সেরা হন চট্টগ্রামের তানজিদ হাসান তামিম।