বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রাম। যদিও আগের দিনই ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারতো চট্টগ্রাম। কিন’ এলেমেনিটর ম্যাচে খুলনার কাছে হেরে সে সুযোগ হাতছাড়া করে লিগ পর্বে কেবল একটি ম্যাচে হারা চট্টগ্রাম। তবে সুযোগ ছিল কোয়ালিফায়ার ২ ম্যাচে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম। গতকাল ৭ উইকেটে ঢাকাকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। বল হাতে মোস্তাফিজ এবং শরীফুলের আগুন ঝরানোর পর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন লিটন, সৌম্য এবং মিথুন। হতশ্রী ব্যাটিংয়ের খেসারতটা দিল ঢাকা ফাইনালের আগে বিদায় নিয়ে। এখন দেখার বিষয় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে শেষটা রাঙাতে পারে কিনা চট্টগ্রাম।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ঢাকাকে শুরুতেই পড়তে হয় চট্টগ্রামের বোলারদের তোপের মুখে। দুই ওপেনার ১৯ রানে বি”িছন্ন হন। পরের ওভারে বিদায় নেন আরেক ওপেনার। ১৯ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর মুশফিক এবং নাঈমও পারেননি দলকে টানতে। এ দুজন ৩১ রান যোগ করতে সক্ষম হয়। আর এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। বিশেষ করে চট্টগ্রামের দুই পেসার মোস্তাফিজ এব শরীফুল ইসলামের তোপের মুখে পড়ে শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেনি। ফলে মাত্র ১১৬ রানে অল আউট হয় ঢাকা। দলের পক্ষে সর্বো”চ ২৫ রান করে এসেছে অধিনায়ক মুশফিক এবং আল আমিনের ব্যাট থেকে। আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ইয়াসির আলি রাব্বি করেন ২৪ রান। এছাড়া দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন আর মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান। তারা হলেন ১১ রান করা সাব্বির এবং ১২ রান করা নাঈম। চট্টগ্রামের পক্ষে মোস্তাফিজ বল হাতে দারুণ সফল। ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। আরেক পেসার শরীফুল ইসলাম নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া বাকি চার বোলারই পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন এবং সৌম্য সরকার ৭ ওভারে ৪৪ রান তুলে নেন। এরপর রান আউট হন ২৩ বলে ২৭ রান করা সৌম্য সরকার। দলকে একশ পার করে দিয়ে আউট হন লিটন দাশ। ফেরার আগে করেন ৪০ রান। তার ৪৯ বলের ইনিংসটিতে চারের মার ছিল ৪টি। অধিনায়ক মিথুনও পারেননি দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে। ৩৫ বলে ৩৪ রান করে ফিরেছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক। তবে বাকি যে পথটা ছিল সেটা নির্বিঘ্নে পাড়ি দিয়েছেন শামসুর রহমান এবং মোসাদ্দেক হোসেন। ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় চট্টগ্রাম।












