ড. হাসান মোহাম্মদ যুক্তিবাদী মানুষ ছিলেন

প্রফেসর সিকান্দার খান

চবি প্রতিনিধি | শনিবার , ১২ মার্চ, ২০২২ at ৮:২৭ অপরাহ্ণ

হাসান মোহাম্মদ ছিলেন একজন যুক্তিবাদী মানুষ। তিনি কখনো কথা এড়িয়ে যেতেন না। ভিন্নমত হলেও সুন্দর করে উত্তর দিতেন। ভিন্নমতের রাজনৈতিক মানুষদেরও তিনি ভালোবাসতেন। উনার জীবন ছিল পূর্ণ কর্মময়।

এক হাসান চলে গেছে কিন্তু অনেক হাসান আছে এখনো। আমরা তাঁর জন্য কাঁদি কারণ এরকম হাসান আমরা আর পাব না। এরকম বিদ্বান, নিরংকার, জ্ঞানী হাসান জাতি আর পাবে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মরহুম প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ-এর নাগরিক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সুকান্দার খান এ কথা বলেন৷

আজ শনিবার (১২ মার্চ) বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এ নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম, সভাপতিত্ব করেন চবি দর্শন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রফেসর ড. এম শফিকুল আলম।

এসময় বক্তব্য রাখেন চবি’র বিভিন্ন বিভাগের সাবেক-বর্তমান শিক্ষকবৃন্দ।

বক্তব্যে চবি বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. আতিকুর রহমান বলেন, “তিনি কখনো নিজের মতকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতেন না। আমরা একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পর্ষদে কাজ করেছি। উনি উনার জ্ঞান, মেধা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধ করেছেন।”

চবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ভিপি নাজিম উদ্দিন নাজিম বলেন, “১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধেও স্যার ভূমিকা রেখেছেন।”

আরো বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, প্রফেসর ড. আ ক ম আবদুল কাদের, প্রফেসর শামীম আহমেদ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি শহীদুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সজীব কুমার ঘোষ বলেন, “হাসান স্যারের প্রতি ভালোবাসার টানে আজকে এখানে আসা। চবিতে শিক্ষক হিসেবে যুক্ত হওয়ার পর স্যারের পরিচয় সাথে। উনার রাজনৈতিক পরিচয় অতটা দেখি না। স্যারকে আমি জানি একজন ভালো গবেষক হিসেবে। স্যার আমাদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।”

ড. হাসান মোহাম্মদ একাধারে লেখক, সংগঠক, সম্পাদক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।

তিনি চবির একাধারে সিন্ডিকেট সদস্য, এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও রেজিস্ট্রার সিলেকশন কমিটির সদস্যসহ অনেক পর্ষদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

হাসান মোহাম্মদ-এর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে কমরেড মুজাফফর আহমদ ও বাংলার কমিউনিস্ট আন্দেলন (১৯৮৯) ছাড়াও ৮টি বই লিখেন তিনি। এছাড়াও অনেক বই সম্পাদনা, সহ-সম্পাদনা ও সম্পাদক কমিটির সদস্য ছিলেন হাসান মোহাম্মদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ“গুরুতর অপরাধ নয়” এমন ক্ষেত্রে প্রবেশন বিধি অনুসরণের নির্দেশ সিএমএম’র
পরবর্তী নিবন্ধকালুরঘাট সেতুতে এবার কাভার্ডভ্যান বিকল, সেই চেনা দুর্ভোগ