ঋণখেলাপি সংকটের সমাধান চাইলে অবিলম্বে প্রতিটি ব্যাংকের শীর্ষ দশ ঋণখেলাপির দ্রুত বিচারের জন্য তিন/চারটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করার এই প্রস্তাবটি ১৯৯৮ সালে দিয়েছিলেন তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন তাঁর প্রদত্ত বিআইবিএম এর ‘প্রথম নুরুল মতিন স্মারক বক্তৃতায়’। ১৯৯৯ সালে ‘দ্বিতীয় নুরুল মতিন স্মারক বক্তৃতায়’ একই দাবি উত্থাপন করেছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় জ্ঞানতাপস আরেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান। দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচার ব্যবস্থার দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রতা সম্পর্কে তাঁদের চাইতে বেশি আর কে জানতো? তাঁদের ঐ প্রস্তাবে কর্ণপাত করেনি তখনকার হাসিনা সরকার। পরবর্তীতে গত সাতাশ বছর ধরে আমি এই দাবিটি বারবার তুলে ধরা সত্ত্বেও কোন সরকারই এ–ব্যাপারে কিছুই করেনি। সরকার ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. আহসান মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ করার পনেরো মাসের মধ্যে ব্যাংকিং খাতে বেশ কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসলেও খেলাপিঋণ সমস্যার কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা যায়নি। বরং, এখন আগের মত খেলাপিঋণ লুকিয়ে ফেলার অপতৎপরতা আর না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত ক্লাসিফাইড লোনের অনুপাত বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় ৩০ শতাংশে পৌঁছে গেছে। অদূর ভবিষ্যতে এই অনুপাত ৪০ শতাংশ অতিক্রম করলেও আমি অবাক হবো না। তবুও সরকারের টনক নড়ছে না কেন সেটাই প্রশ্ন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর খেলাপিঋণ আদায়ের জন্য যে টাস্কফোর্স গঠন করেছেন সেটা সফল হতে হলে ট্রাইব্যুনাল গঠনকে প্রথম অগ্রাধিকার দিতেই হবে, নয়তো তাদের ব্যর্থতা অবধারিত। আমার প্রস্তাব, বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাস পরপর ক্লাসিফাইড লোনের যে হিসাব প্রকাশ করে থাকে তার অংশ হিসেবে বিভিন্ন আদালতে মামলার বিষয়বস্তু হিসেবে কত খেলাপিঋণ আটকে রয়েছে তার সর্বশেষ হিসাব এবং কত খেলাপিঋণ ‘রাইট–অফ’ করা হয়েছে তারও সর্বশেষ হিসাব নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হোক্।
পতিত স্বৈরশাসক হাসিনার সাড়ে পনেরো বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি লুন্ঠনের শিকার হয়েছিল ব্যাংকিং খাত, যার ফলে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ১১টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল। দেশে ৬১টি ব্যাংকের প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও হাসিনার খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে তাঁর আত্মীয়–স্বজন, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় অলিগার্ক ব্যবসায়ী ও ‘রবার ব্যারনে’ পরিণত হওয়া লুটেরাদেরকে পুঁজি–লুন্ঠনের অবিশ্বাস্য সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এতগুলো ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদান করেছিল স্বৈরশাসক হাসিনা। এই এগারটি ব্যাংকের মধ্যে চট্টগ্রামের কুখ্যাত ব্যাংক–লুটেরা এস আলম কর্তৃক লুন্ঠিত নিচে উল্লিখিত সাতটি ব্যাংক অন্তর্ভুক্ত ছিল: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, এসআইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। একজন ব্যক্তিকে সাতটি ব্যাংকের ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে দেওয়ার দ্বিতীয় নজির বিশ্বের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইসলামী ব্যাংক ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রধানত জামায়াত–শিবিরের নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক ছিল। ঐ সময় ওটা ছিল দেশের প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাংকগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ব্যাংক। দেশে আসা প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রায় ৩০ শতাংশ আসত ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এরকম একটা শক্তিশালী ব্যাংককে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয় স্বৈরশাসক হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ও মদদে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাত বছরে এস আলম বিভিন্ন কায়দায় ইসলামী ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়েছে প্রায় সত্তর হাজার কোটি টাকা, যার ফলে ব্যাংকটি দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল। এস আলম তার নিয়ন্ত্রণাধীন সাতটি ব্যাংক থেকে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা লুটে নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। পতিত সরকারের ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী লুটে নিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংককে। পতিত হাসিনার উপদেষ্টা সালমান রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন ব্যাংকে খেলাপিঋণ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন েশ্েবতপত্র কমিটির গবেষণায় উঠে এসেছে, স্বৈরশাসক হাসিনার সাড়ে পনেরো বছরের লুটপাটতন্ত্রের মাধ্যমে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে মোট ২৩৪ বিলিয়ন ডলার লুন্ঠিত হয়ে দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি লুন্ঠনের শিকার হয়েছে ব্যাংকিং ও ফাইনেন্সিয়াল খাত ।
২০২৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর বলেছিলেন, ব্যাংকিং খাতের খেলাপিঋণের পরিমাণ ছয় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় একই সময় ব্যবসা–বাণিজ্য সংক্রান্ত পত্রিকা ‘দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’ এর একজন রিপোর্টার জানিয়েছিলেন, ব্যাংকের খেলাপিঋণের প্রকৃত পরিমাণ সাত লাখ কোটি টাকারও বেশি হবে। আমি বহু বছর ধরে বলে চলেছি যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ক্লাসিফাইড লোনের হিসাব জনগণের সাথে ‘ভয়ানক প্রতারণা’। কারণ, খেলাপিঋণের তিনটি প্রধান ক্যাটেগরিকে টেকনিক্যাল কারণে এই হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়না। এই তিনটি ক্যাটেগরি হলো:
১) অর্থঋণ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশন এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যেসব খেলাপিঋণের মামলা বছরের পর বছর বিচারাধীন মামলা হিসেবে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক শক্তি এবং বিচার বিভাগের ঘুষ–দুর্নীতির মাধ্যমে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সেগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ক্লাসিফাইড লোনের’ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই ক্যাটেগরির খেলাপিঋণের পরিমাণ তিন লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
২) যেসব মন্দঋণ (খেলাপিঋণ) পাঁচ বছরের বেশি পুরানো হয়ে গেছে সেগুলোকে ব্যাংকগুলো চাইলে এবং তাদের সক্ষমতা থাকলে ‘রাইট–অফ’ বা অবলোপন করতে পারে। সক্ষমতার প্রশ্ন উঠছে এ–কারণে যে ‘রাইট–অফ’ করা খেলাপিঋণের সম–পরিমাণ অর্থ ব্যাংকগুলোকে প্রভিশনিং করতে হয়। প্রভিশনিং করার মানে হলো ‘রাইট–অফ’ করা মন্দঋণের সম–পরিমাণ অর্থ অন্য কাউকে ঋণ প্রদান করা যায় না, এবং ‘রাইট–অফ’ করা মন্দঋণের হিসাব ব্যাংকের মূল লেজার থেকে সরিয়ে অন্য আরেকটি লেজারে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। ফলে, যে ব্যাংক মন্দঋণ রাইট–অফ করে তাদের ঋণ প্রদানের ক্ষমতা ঐ পরিমাণ সংকুচিত হয়ে যায়। সেজন্য বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ছাপ্পান্ন হাজার কোটি টাকারও বেশি ‘প্রভিশনিং শর্টফল’ রয়েছে, মানে ব্যাংকগুলোর যে পরিমাণ ‘পাঁচ বছরের বেশি পুরানো মন্দঋণ’ রয়েছে তার চাইতে ছাপ্পান্ন হাজার কোটি টাকা কম প্রভিশনিং করেছে। অবশ্য, রাইট–অফ করা মন্দঋণকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্লাসিফাইড লোনের হিসাব থেকে বাদ দেওয়া হয়। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশের সকল ব্যাংক থেকে প্রায় সত্তর হাজার কোটি টাকা রাইট–অফ করা হয়েছে। অতএব, এই সত্তর হাজার কোটি টাকাকেও প্রকৃত খেলাপিঋণের পরিমাণের সাথে যোগ করতেই হবে। রাইট–অফ করা মন্দঋণ খেলাপিঋণ বিধায় সেগুলো আদায়ের জন্য ব্যাংকগুলোর সচেষ্ট থাকার কথা, কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি–জামায়াত জোট সরকার রাইট–অফ প্রথা চালু করার পর ২৪ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো পাঁচ শতাংশ রাইট–অফ করা মন্দঋণও কোন ব্যাংক আদায় করতে পারেনি।
৩) তৃতীয় ক্যাটেগরি হলো আইনানুগভাবে যতবার ঋণ রিশিডিউলিং (পুনর্তফশিলীকরণ) করা যায় তার চাইতে বেশিবার রিশিডিউল করে কোন ঋণকে নিয়মিত দেখানো, কিংবা নতুন ঋণ অনুমোদন করে পুরানো খেলাপিঋণকে ঐ নতুন ঋণের মধ্যে এডজাস্ট করে দেখানো। এদেশের প্রায় সকল ব্যাংক এই অবৈধ উপায়টি ব্যাপকভাবে অপব্যবহার করত বলে ওয়াকিবহাল মহল অভিযোগ করে থাকেন, কিন্তু দুঃখজনকভাবে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিং ও সুপারভিশনকে ফাঁকি দিয়ে ব্যাংকগুলো এই মহাজনী পন্থাটি অনুসরণ করত বিধায় এই পদ্ধতিতে কী পরিমাণ খেলাপিঋণকে প্রতি বছর ব্যাংকগুলো কার্পেটের তলায় লুকিয়ে ফেলছে সেটা অজানাই রয়ে যাচ্ছে। এর মানে, খেলাপিঋণ সংকটের প্রকৃত চিত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের দেখানো চিত্র থেকে অনেক বেশি ভয়াবহ। এই ৪০ শতাংশ অনুপাত শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নয়, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও সর্বোচ্চ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, পাকিস্তানের চাইতেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংকট বেশি গুরুতর। আরো গুরুতর হলো, বাংলাদেশের খেলাপিঋণের সিংহভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। হাসিনা তাঁর সাড়ে পনেরো বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে তাঁর পরিবার, আত্মীয়–স্বজন, দলীয় নেতা–কর্মী, কতিপয় অলিগার্ক–ব্যবসায়ী এবং পুঁজি–লুটেরাদেরকে সাথে নিয়ে সরকারী খাতের প্রকল্প এবং ব্যাংকিং খাত থেকে যে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুন্ঠনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন তার ভয়াবহ কাহিনী তাঁর পতনের পর উদ্ঘাটিত হতে শুরু করেছে। ৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দৈনিক বণিক বার্তার হেডলাইনের খবরে প্রকাশিত তথ্য–উপাত্তের দাবি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারিখে বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিল আঠারো লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অথচ, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার দিনে বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল মাত্র দুই লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার আট’শ ত্রিশ কোটি টাকা। এর মানে, এই দুই ঋণের স্থিতির পার্থক্য দাঁড়িয়েছে পনেরো লক্ষ আটান্নো হাজার দুই’শ ছয় কোটি টাকা। হাসিনা এই সুবিশাল আঠারো লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি টাকার ঋণের সাগরে দেশের জনগণকে নিমজ্জিত করে প্রতি বছর মাথাপিছু জিডিপি’র উচ্চ–প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে চলেছিলেন, যাকে বলা চলে ‘নিকৃষ্টতম শুভংকরের ফাঁকি’ ও জনগণের সাথে ভয়ানক প্রতারণা। এই লুন্ঠিত অর্থের সিংহভাগই ব্যাংকের অর্থ, যার বেশিরভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। পাচারকৃত খেলাপিঋণের কোন অংশই ব্যাংকে ফেরত আসবে না। এর মানে, ব্যাংকের খেলাপিঋণ সামান্য পরিমাণে আদায় করতে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সমস্যার কোন কূল–কিনারা পেতে হলে অবিলম্বে প্রত্যেক ব্যাংকের শীর্ষ দশ ঋণখেলাপিকে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তিন/চারটি ‘খেলাপিঋণ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এ–ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মহোদয়ের দ্বিধা ও নিষ্ক্রিয়তা দুর্বোধ্য ও অগ্রহণযোগ্য। যেসব রাঘববোয়াল ঋণখেলাপি বিদেশে পালিয়েছে তাদের খেলাপিঋণ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আদায় করার ব্যাপারে আমি মোটেও আশান্বিত নই। কিন্তু, ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হলে দ্রুত তাদের এদেশে থাকা কল–কারখানা–সহায়–সম্পদ সরকার ক্রোক করে নিতে পারবে। উপরন্তু, অদূর ভবিষ্যতে দেশে আর নতুন করে ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ হওয়ার প্রবণতা দূরীভূত হয়ে যাবে।
লেখক : সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়











