ড. মইনুল ইসলামের কলাম

| বৃহস্পতিবার , ৮ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

সফল স্কুল-ফিডিং মডেলের জন্য রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস
বাংলাদেশের ‘কাজলী মডেল’ অনুকরণীয়
সরকারের প্রাইমারি স্কুল-ফিডিং কর্মসূচি প্রকল্পে ৫০০ জন মাঠ-পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষককে ভারতের কেরালায় পাঠিয়ে ফিডিং-ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে দেখে আসার জন্যে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল, যেটা নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন শেখার জন্যে বিদেশে ৫০০ জনকে পাঠানোর প্রস্তাবটি নিয়ে সারা দেশে হাসি-ঠাট্টার ঝড় ওঠায় সরকারের নীতি-প্রণেতা মহলে ঐ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা প্রদানের হিড়িক পড়ে যায়। এর ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব জাকির হোসেন ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার এক পর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকদেরকে গালমন্দ করেন। তাঁর ভাষায়, ‘বিএনপি-জামায়াতের লোকজন এখন সাংবাদিকতা পেশায় আসছেন। তাঁদের কোন জ্ঞান-গরিমা নেই। হুট করে একটা লিখে দিলেই মনে করেন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে গেল। ——-আমার এলাকায় বিএনপি’র যত ছেলে ছিল সবাই সাংবাদিক হয়ে গেছে। আপনাদের অনুরোধ করব, এসব বিএনপি’র সাংবাদিক নতুন কালের সাংবাদিকতায় আসছে। এদের একটু নজরে রাখবেন, সরকারের যেন বদনাম না হয়’। প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের এহেন আক্রমণ সমালোচকদের তূণে আরো বাণ যুগিয়েছে এবং ব্যাপারটায় আরো রং চড়িয়েছে বলা চলে। (পরিকল্পনা কমিশন ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫-৩০ জনের দুটো টিমকে ব্যবস্থাপনা দেখার জন্য কেরালায় পাঠানোর প্রকল্প-প্রস্তাব দেওয়ার সুপারিশ করেছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।) প্রতিমন্ত্রীর আক্রমণাত্মক কথাবার্তার সমালোচনা করে দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক জনাব সোহরাব হাসান ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে প্রথম আলোয় একটি কলাম লিখেছেন, যেখানে প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক সাংবাদিকদেরকে সুযোগ পেলেই এক হাত নেয়ার প্রবণতাকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে স্কুল ফিডিং-য়ে বিভিন্ন দেশে সামাজিক অংশগ্রহণের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছে। সোহরাব বলছেন, ‘যেসব দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেসব স্থানে স্থানীয় জনগণই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশেও এর উদাহরণ আছে। একটি বেসরকারি সংস্থার প্রধান তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেছেন, তাঁরা শিক্ষার্থীদের মায়েদের খিচুড়ি পাকানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। একেক দিন একেকজন মা শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে আসেন। ছোট ছেলেমেয়েরাও আনন্দের সঙ্গে সেই খাবার খাচ্ছে’।
সোহরাব যে স্কুল-ফিডিং মডেলটির প্রসঙ্গ টেনেছেন বাংলাদেশে তার উদ্‌গাতা ও পথিকৃৎ রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস্‌ বাংলাদেশ (রিইব) নামের গবেষণা সংস্থা। বর্তমানে ‘রিইব’ এর পরিচালনা বোর্ডে রয়েছেন দেশের বরেণ্য অর্থনীতিবিদ প্রফেসর আনিসুর রহমান, ড. শামসুল বারী, ড. হামিদা হোসেন, ড. রওনাক জাহান, সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ড. মনোয়ারুল ইসলাম, ড. মইনুল ইসলাম, ড. জাফর ইকবাল, ড. এম এম আকাশ, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা ও ড. গীতি আরা নাসরীন। রিইব-এর চেয়ারম্যান ড. শামসুল বারী এবং এক্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর ডঃ মেঘনা গুহঠাকুরতা। প্রফেসর আনিসুর রহমান-উদ্ভাবিত ‘পার্টিসিপেটরি একশান রিসার্চ’ (পার) বা ‘গণগবেষণা’ পদ্ধতিতে সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার সংগ্রামে কিভাবে ঐ জনগণকে সংগ্রামের সরাসরি মূল-কর্তা (সাবজেক্ট) হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা যায় ২০০২ সাল থেকে ‘রিইব’ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারই মাঠ-পর্যায়ের একশান রিসার্চ পরিচালনা করে চলেছে। পার্টিসিপেটরি একশান রিসার্চ (পার) বা গণগবেষণা পদ্ধতিতে ‘দরিদ্র’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় না, কারণ দারিদ্র্য সমাজের সবচেয়ে সুবিধা-বঞ্চিত জনগোষ্ঠী নিজেরা সৃষ্টি করে না। সমাজে বিদ্যমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ‘সিস্টেম’ নিরবচ্ছিন্নভাবে দারিদ্র্য সৃষ্টি ও পুনঃসৃষ্টি করে চলেছে। অতএব, এই সুবিধা-বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সচেতন করে সিস্টেম বদলানোর সংগ্রামের নানা কার্যক্রমে মূল-কর্তা (সাবজেক্ট) হিসেবে ‘প্রাঙিস পদ্ধতিতে’ সরাসরি অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে তারা নিজেদের অবস্থা বদলাতে পারবে না। গণগবেষণার প্রাঙিস পদ্ধতি পরিচালিত হয় ২৫-৩০ জনের গণগবেষণা গ্রুপ গঠন করে প্রতি সপ্তাহে ‘উঠান বৈঠকের’ মাধ্যমে। এসব বৈঠকের আলোচনায় গ্রুপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাবলী চিহ্নিত করার পর সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গৃহীত হয়। পরবর্তী বৈঠকে ঐ পদক্ষেপের সাফল্য-ব্যর্থতা মূল্যায়ন করে ভুল সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর আবারো ঐ সংশোধিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রয়াস গৃহীত হয়। এই ‘গ্রুপভিত্তিক আলোচনা-গ্রুপ একশান-মূল্যায়ন-সংশোধিত একশান’ প্রক্রিয়াটিকেই প্রাঙিস বলা হয়। এই পদ্ধতিতে গণগবেষকরাই বাইরের কারো হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজেদের সমস্যা সমাধানের মূল-কর্তা বা সাবজেক্টের ভূমিকা পালন করে। (একজন ‘এনিমেটর’ বা ‘ফেসিলিটেটর’ তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।) ফলে তারা নিজেদের অসুবিধা মোকাবেলায় নিজেরা ক্ষমতায়িত হতে পারে, কারো দয়া-দাক্ষিণ্য-ঋণের মুখাপেক্ষী হতে হয় না। মাইক্রো-ক্রেডিট দিয়ে দারিদ্র্য মোকাবেলার সীমাবদ্ধতা এখানেই, দরিদ্র জনগোষ্ঠী এক্ষেত্রে ঋণের টার্গেট বা ‘অবজেক্ট’।
ঐ ২০০২ সাল থেকেই গত আঠার বছর ধরে ‘রিইব’ তার প্রাক্‌-স্কুল শিক্ষার (প্রি-স্কুল এডুকেশান) ‘গণগবেষণা মডেল’ হিসেবে ‘কাজলী মডেল’ পরিচালনা করে আসছে দেশের ১১৭টি গ্রামে। (‘কাজলী’ রিইব-এর চেয়ারম্যান ড. শামসুল বারীর গ্রামের নাম। এই গ্রামেই মডেলটির প্রথম সফল প্রয়োগের কারণে মডেলটিকে ‘কাজলী মডেল’ অভিহিত করা হয়েছে।) এই কাজলী মডেলে গ্রামের সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলোর ২৬ জন ছেলেমেয়ে নিয়ে এক-একটি প্রাক্‌-স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয় গ্রামেরই কোন পরিবারের উঠানের একটি ঘরে। টিনের ছাউনী-বেড়ার ঘরটির দরজা-জানালা বাদ দিয়ে চারদিকেই ছাব্বিশ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্যে ছাব্বিশটি ব্ল্যাক-বোর্ড ঝোলানো থাকে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে তার নিজস্ব বোর্ডে লেখার বা ছবি আাঁকার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এক বছরের কারিক্যুলাম ও শিক্ষা-ম্যাটেরিয়ালস সরবরাহ করে ‘রিইব’। শিক্ষকের বেতন দেন ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা। সকাল আটটা থেকে বেলা বারটা পর্যন্ত স্কুল, মাঝখানে আধ-ঘন্টা গান ও খেলাধুলার ছুটি। বারটার সময় সব ছাত্র-ছাত্রীকে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়, যে খাবারটা একেক দিন একেক ছাত্র-ছাত্রীর মা রান্না করে নিয়ে এসে পরিবেশন করে যান শিক্ষকের সহায়তায়। এই এক বছরে ছাত্র-ছাত্রীর যে প্রাক্‌-স্কুল শিক্ষার উন্নয়ন হয় সেটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পরের বছর তারা গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়, ওখানে ক্লাসের সেরা ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে তারা। আঠার বছর ধরে ‘রিইব’ সাফল্যের সাথে এই কাজলী মডেলটি পরিচালনা করে চলেছে। দেশে ও বিদেশে বহু উন্নয়ন প্রকাশনায় ক্রমশ এই মডেলটির সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে। এই মডেলের সকল ডাইমেনশানের সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনীর অন্যতম এই সামাজিক অংশগ্রহণমূলক মিড-ডে ফিডিং। দেশে স্কুল ফিডিং-এর পথিকৃৎ ‘রিইব’ সম্পর্কে খুব বেশি মানুষ এখনো হয়তো জানে না, কিন্তু দেশ-বিদেশের অনেক এনজিও এবং একশান-রিসার্চ সংস্থা এখন কাজলী মডেলটি অনুসরণ করছে। সোহরাব নাম উল্লেখ না করলেও যাঁর উদাহরণ টেনেছেন, তিনিও ‘রিইব’ এর কাজলী মডেলটি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি তাঁর সংস্থায় গ্রহণ করেছেন।
সরকার বিলম্বে হলেও দেশের প্রাইমারি স্কুলগুলোতে যে মিড-ডে ফিডিং চালু করছে তাকে আমি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে সাধুবাদ জানাই, এবং কর্মসূচিটির সাফল্য কামনা করি। সরকার এ-সম্পর্কে কেরালার স্কুল-ফিডিং কর্মসূচি থেকে শিক্ষা নিয়ে এদেশের কর্মসূচিকে সফল করতে চাইছে, সেটাও আমাকে উৎসাহিত করছে। সারা দেশের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করাটা বিশাল একটা কর্মযজ্ঞের সূচনা করতে যাচ্ছে। সেজন্যই, যাতে এই কর্মসূচিতে কোনমতেই দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা গেড়ে বসতে না পারে সে ব্যাপারে প্রথম থেকেই সাবধান হতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয়টি শ্রেণীর প্রায় আড়াইশো-তিনশো ছাত্র-ছাত্রীর মিড-ডে ফিডিং ব্যবস্থাপনার জন্য যে লজিস্টিকস এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন হবে সেগুলোর নিরবচ্ছিন্ন যোগান অক্ষুণ্ন রাখা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এর প্রতিটি ব্যাপারেই ব্যাপক দুর্নীতির অবকাশ রয়েছে। মাঠ-পর্যায়ের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের, মানে পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরকে কেরালায় এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু, আমাদের ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরকে এ-ব্যাপারে সম্পৃক্ত করলে দুর্নীতি, লুটপাট ও অব্যবস্থাপনা পুরো কর্মসূচিটিকে বরবাদ করে দেবে। সেজন্যই প্রতিটি শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের মায়েদেরকে খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশনের দায়িত্ব প্রদানের বিষয়টি গুরুত্বের দাবি রাখে। এ-ব্যাপারে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা যদি রিইব-এর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান তাহলে আমরা সানন্দে তাঁদেরকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। সামাজিক অংশগ্রহণমূলক এই বিকল্প কার্যক্রমে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার আশংকা যেহেতু থাকছে না তাই এক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা উজ্জ্বলতর হবে। প্রাইমারি স্কুলের শ্রেণিগুলোতে যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছাব্বিশ জনের বেশি হওয়াই স্বাভাবিক, তাই একজন মায়ের পরিবর্তে একাধিক মায়ের ওপর প্রতিদিনের খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশনের দায়িত্ব প্রদানের সুযোগ থাকবে। এই মডেলে যেহেতু খাদ্যের ব্যয়ভার অভিভাবকরা বহন করবেন তাই কর্মসূচি পরিচালনা সরকারের জন্য তুলনামূলকভাবে অনেক ব্যয়সাশ্রয়ী হবে। প্রয়োজনে খাদ্যের সরঞ্জাম সরবরাহে মায়েদেরকে স্কুল থেকে ভর্তুকি-সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। (কেরালা মডেলেও নিশ্চয়ই সামাজিক অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে!) বলা হচ্ছে, সরকারের প্রস্তাবিত ফিডিং প্রকল্পে ঊনিশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়-প্রাক্কলন করা হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমলাতান্ত্রিকতা পরিহার করে কাজলী মডেল প্রয়োগ করলে কর্মসূচির ব্যয় হয়তো তিনভাগের এক ভাগে নামিয়ে ফেলা যাবে। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার আশংকাকেও হয়তো অনেকখানি কমানো যাবে।
স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি যেহেতু এখনো পাইলট-পর্যায়ে রয়েছে তাই নানা রকম বিকল্প নিয়ে এঙপেরিমেন্টেশনের এটাই প্রকৃষ্ট সময়। সরকারের প্রকল্পের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মায়েদেরকে খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশনের দায়িত্ব প্রদানের ‘কাজলী মডেলের’ প্রস্তাবটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর এটাই উপযুক্ত সময়। আমাদের সুস্পষ্ট প্রস্তাব হলো, দেশের প্রতিটি জেলায় দুটো করে প্রাইমারি স্কুলে রিইব-এর কাজলী মডেলের অনুসরণে স্কুল-ফিডিং পাইলট প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব রিইব গ্রহণ করতে প্রস্তুত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি প্রস্তাবটা সম্পর্কে ভেবে দেখবেন?
লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর,
অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল আজকাল
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় বিদ্যুতের খুঁটি সরানো নিয়ে দুই পক্ষে হাতাহাতি