ড. মইনুল ইসলামের কলাম

| বৃহস্পতিবার , ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

অভিবাসন প্রক্রিয়ায় গেড়ে বসা আদম ব্যাপারীদের সিন্ডিকেট প্রতিরোধ করুন
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি দু’বছর বন্ধ থাকার পর আবার শুরু করার জন্য গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে দু’দেশ চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। এই চুক্তি মোতাবেক ‘গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জি টু জি) ব্যবস্থাপনায়’ মালয়েশিয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জনশক্তি আমদানি করবে, যার ফলে অভিবাসনেচ্ছু শ্রমিকের অভিবাসন ব্যয় এক লাখ টাকার নিচে চলে আসবে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি রফতানি ও বৈদেশিক নিয়োগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব এমরান আহমদ। কতিপয় মালয়েশীয় ও বাংলাদেশী জনশক্তি রফতানিকারকের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ২০১৯ সালে মালয়েশিয়ার কিংবদন্তী প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মাহাথীর মোহাম্মদের সরকার বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ঐ সময় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় অভিবাসনেচ্ছু শ্রমিককে প্রায় চার-পাঁচ লাখ টাকা খরচ করতে হতো, যার প্রধান অংশটা মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের আদম ব্যাপারীদের সিন্ডিকেটের কুক্ষিগত হওয়াটাই নিয়মে পরিণত হয়েছিল। ২০০২ সালে ক্ষমতা ত্যাগের দীর্ঘদিন পর ২০১৮ সালে পুনর্নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর ডাঃ মাহাথীর এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হয়েছিলেন মালয়েশিয়ার রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের একটি অংশ এই পুঁজি লুন্ঠনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায়। এর আগে আরো একবার বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের আমলে ২০১২ সালের নভেম্বরে সরকারী উদ্যোগে অভিবাসী প্রেরণের চুক্তি স্বাক্ষরের পর মাত্র ৪০,০০০ টাকা খরচে হাজার দশেক মানুষ মালয়েশিয়া যেতে পেরেছিলেন। ম্যানপাওয়ার এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে আগে মালয়েশিয়া যেতে এর প্রায় পাঁচগুণ বেশি টাকা লাগতো। কিন্তু, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ উভয় দেশের জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দু’দেশের সরকারের ঐ সদিচ্ছা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল। ফলে, বাংলাদেশী শ্রমিকদের অভিবাসন ব্যয় আবার দু’দেশের আদম ব্যাপারী সিন্ডেকেটের অমানবিক দৌরাত্ম্যের শিকার হয়ে ক্রমশ বাড়তে বাড়তে ২০১৯ সালে বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে চার-পাঁচ লাখ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল।
২০১৫ সালের ৯, ১০ ও ১১ আগস্ট তারিখে দেশের ইংরেজী দৈনিক দি ডেইলী স্টার পত্রিকায় তিন কিস্তিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী অভিবাসী প্রেরণে বাংলাদেশ সরকারের দুঃখজনক ব্যর্থতার নেপথ্যে দু’দেশের আদম বেপারীদের সংঘবদ্ধ অপতৎপরতার একটি বিশ্লেষণাত্মক সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছিল, যার কিছু অংশ পাঠকদের জ্ঞাতার্থে উপস্থাপন করছি। সমীক্ষাটির প্রথম কিস্তিতে ঐ পদ্ধতিতে অভিবাসীদের কাছ থেকে ২০০৭-৮ সালে আদায় করা অর্থের একটা ভাগ-বাটোয়ারার চিত্র দেখানো হয়েছে, যা নিম্নরূপ:
উপরের তথ্যগুলো মালয়েশিয়ার শ্রমিক-অধিকার সম্পর্কিত সংস্থা টেনাগানিটা কর্তৃক সংগৃহীত। দু’দেশের খরচগুলো যোগ করলে দেখা যাচ্ছে, একজন অভিবাসনেচ্ছু শ্রমিকের কাছ থেকে এই প্রক্রিয়ায় এক লাখ ষাট হাজার থেকে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হতো, যার ভাগ মালয়েশিয়ার চাকুরিদাতা, এজেন্ট, লবিয়িস্ট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি, এজেন্সির শহুরে দালাল, গ্রামীণ দালাল সবাই পেয়ে যাচ্ছে। এমনকি, মালয়েশিয়া সরকার চাকুরিদাতা ফার্ম থেকে বিদেশী শ্রমিক নিয়োগের জন্যে যে লেভী আদায় করছে তা-ও চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকের ওপর। সিঙ্গাপুরে পরিচালিত আমার ১৯৯৬-৯৭ সালের অভিবাসী সম্পর্কিত গবেষণায়ও একই চিত্র ফুটে উঠেছিল। সিঙ্গাপুরের মত একটি প্রায় দুর্নীতিমুক্ত দেশে যদি অভিবাসী শ্রমিকদেরকে এ ধরনের শোষণের শিকার হতে হয় তাহলে মালয়েশিয়ায় অবস্থা আরো খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। অতএব, বোধগম্য কারণেই বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানিকারকরা সরকারের ২০১২ সালের শুভ উদ্যোগটিকে বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছিল, এবং সরকারের সাথে এই ইস্যুতে তাদের ঝগড়া ও টানাপড়েন মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। যেখানে পূর্বে প্রতি বছর কয়েক লাখ বাংলাদেশী অভিবাসী মালয়েশিয়ায় যেতেন সেখানে সরকার ঐ দায়িত্ব নেয়ার পর আড়াই বছরে মাত্র দশ হাজার শ্রমিক যেতে পারার মানেই হলো, ব্যবস্থাটা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল। দি ডেইলী স্টারের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায়ও শক্তিশালী আদম বেপারী চক্র দু’দেশের সরকারের বন্দোবস্তে (গভর্ণমেন্ট টু গভর্ণমেন্ট বা জি-টু-জি) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণের ব্যবস্থাটিকে ভন্ডুল করার জন্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। এই দুই কায়েমী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা সফল হওয়ার ফলে দুই সরকারের মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণের ব্যবস্থাটি বন্ধ করে দিয়ে আবার ম্যানপাওয়ার এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে (বিজনেস টু বিজনেস বা বি-টু-বি) শ্রমিক প্রেরণের ব্যবস্থা পুনরায় চালু হয়েছিল। দি ডেইলী স্টারের সাংবাদিক অভিযোগ তুলেছিলেন, সরকারী বন্দোবস্তটা যেন ব্যর্থ হওয়ার জন্যেই প্রণীত হয়েছিল। এবারের চুক্তিটিরও যেন একই পরিণতি না হয়!
পাঠকদের জ্ঞাতার্থে বলছি, প্রতি বছর বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রায় সতর/আঠারো লাখ কর্ম-প্রত্যাশী মানুষ প্রবেশ করলেও দেশের অর্থনীতি সাত/আট লাখের বেশী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আজো অপারগ রয়ে গেছে। প্রতি বছর বৈধ-অবৈধ পথে ছয়/সাত লাখ মানুষ বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগ না পেলে বাংলাদেশের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে প্রচন্ড বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি হতে বাধ্য। তাই, আন্তর্জাতিক অভিবাসনকে তাত্ত্বিকভাবে ‘মেধা পাচার’ হিসেবে দেখার যুক্তি থাকলেও বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের মত জনাকীর্ণ দেশের জন্যে এটাকে ‘সেফটি ভাল্ব’ হিসেবে দেখাই যৌক্তিক। জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে এই অভিবাসীরা বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়লেও তাঁদের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সরকারের কৃতিত্ব নেয়ার অবকাশ নেই। বরং আমার গবেষণাগুলোতে বারবার ফুটে উঠেছে, পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ঘিরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোভাতুর ‘আদম ব্যাপারী চক্রের’ দোর্দন্ড প্রতাপ অভিবাসন-প্রত্যাশীদেরকে শোষণ, প্রতারণা ও লুন্ঠনের অসহায় শিকারে পরিণত করে চলেছে চার দশক ধরে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বাংলাদেশী অভিবাসীদের ৯৫ শতাংশই শিক্ষা এবং দক্ষতার দিক থেকে বিশ্বের অন্য দেশের অভিবাসীদের চাইতে পেছনে অবস্থান করছেন। তাই, সবচেয়ে কম মজুরীর ‘থ্রি ডি জব’ গুলোই (ডার্টি, ড্যানজেরাস এন্ড ডিমান্ডিং জবস) তাঁদের ভাগে জুটছে। কিন্তু, পরিবারের মা-বাবা, স্ত্রী-পুত্র-কন্যা, ভাই-বোনদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালনের জন্যে বাংলাদেশের অভিবাসীরা তাঁদের এই নিম্ন আয়ের ৫০-৭৫ শতাংশই নিয়মিতভাবে রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে প্রেরণ করেন। অভিবাসী প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ হলেও বিশ্বের রেমিট্যান্সের-গন্তব্য দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অষ্টম — ভারত, চীন, মেঙিকো, ফিলিপাইন, তুরস্ক, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের চাইতে এগিয়ে রয়েছে এ ব্যাপারে। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির তান্ডব সত্ত্বেও বাংলাদেশে ফরমাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের চাইতে ২৪ শতাংশ বেড়ে ২১.৭৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল।
এ-পর্যায়ে বলা প্রয়োজন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গত এক দশক ধরে প্রশংসনীয় গতি সঞ্চার সত্ত্বেও বৈদেশিক অভিবাসনের জন্য জনগণের প্রচন্ড হাহাকার মোটেও কমেনি। সেজন্য, অভিবাসনকে ঘিরে বাংলাদেশের জনগণের ব্যাপক বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক দুর্দশা বরাবরই বিশ্ববাসীর আলোচনার কেন্দ্রে রয়ে গেছে। পাঠকদের হয়তো মনে আছে, ২০১৫ সালে এই নেতিবাচক প্রচারে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিবাসনের উদ্দেশ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অপরাধী চক্রগুলোর প্রাণঘাতী চক্রান্তের জালে ধরা দেওয়া মানুষগুলোর একাংশকে ‘মেন্টালী সিক’ বলে তিরস্কার করেছিলেন, এবং তারা ‘সোনার হরিণের’ পেছনে ছুঠছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মানবপাচারকারী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালানোর পাশাপাশি যারা এভাবে ভাগ্যান্বেষণে অবৈধপথে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করছে তাদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের কাছে সোপর্দ করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাগ করার যথেষ্ট কারণ থাকলেও তাঁর ক্রুদ্ধ এবং ঢালাও মন্তব্যগুলো তাঁকে বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ঠেলে দিয়েছিল। কারণ, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ যখন বেকারত্ব ও দারিদ্রের কশাঘাত থেকে পরিত্রাণের জন্য এভাবে জীবনের তোয়াক্কা না করে বিশ্বের সকল মহাদেশে ছুঠে চলেছে এবং সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিয়ে উন্নততর ভবিষ্যতকে ছুঁতে চাচ্ছে তখন বিষয়টাকে আরো একটু সংবেদনশীলভাবে বিবেচনা করাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশিত; তাঁর এভাবে ঝাল ঝাড়াটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটাতো তাঁরও ব্যর্থতা। একটা ঘনবসতিপূর্ণ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দায় কি অস্বীকার করা যাবে যে দেশের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান করা যাচ্ছেনা বলেই দেশ থেকে তরুণ ও যুবক কর্মপ্রত্যাশীরা পালিয়ে বাঁচতে চাচ্ছে? ই্‌উরোপের কোন দেশে যাওয়ার পথে সাহারা মরুভূমি পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছে বাংলাদেশের তরুণ, ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরছে বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসী। আমেরিকা যাওয়ার জন্য ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন দেশ থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ডুবে মরেছে এদেশের মানুষ, এমনকি মেঙিকো-মার্কিন সীমান্তে মারা পড়েছে বেশ কয়েকজন। প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন যে এদের সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান নয়, লক্ষ লক্ষ টাকা আদম বেপারী ও হিউম্যান ট্রাফিকিং চক্রগুলোর লোভাতুর বাণিজ্যে বিনিয়োগ করে ‘সোনার হরিণ’ পাওয়ার মোহে ছুঠছে এদেশের উচ্চ-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা। অভিবাসনের সফল এডভেঞ্চারগুলো আরো হাজার হাজার যুবককে স্বপ্ন দেখাচ্ছে অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিতে। এর মধ্যে মানসিক ব্যাধির সন্ধান করা সমীচীন নয়, ‘চেইন মাইগ্রেশানের’ গতি-প্রকৃতি এরকমই হওয়ার কথা। বেকারত্বের গ্লানিতে নিমজ্জিত তরুণদের এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত যৌক্তিক।
জনশক্তি রপ্তানি ও বৈদেশিক নিয়োগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জনাব এমরান আহমদের প্রতি আমার আহ্বান: আপনাকে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবেই জানি। আপনি যদি অভিবাসী শ্রমিকদেরকে আদম বেপারী ও দালালদের শোষণ-লুন্ঠন থেকে সুরক্ষার একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনি সারা দেশের জনগণের মনে স্থায়ী আসন দখল করতে সমর্থ হবেন। আল্লাহতাআলাহ আপনাকে যে সুযোগ দিয়েছেন তার সদ্ব্যবহার করুন। বিশ্বের অন্য কোন দেশের অভিবাসী শ্রমিকদেরকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের এক-তৃতীয়াংশও খরচ করতে হয়না। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনস, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মেঙিকো এবং ভিয়েতনাম থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করলে এই ব্যাপারে দিক্‌-নির্দেশনা পাওয়া যাবে।

লেখক : সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন বছরের উদ্বেগ উৎকন্ঠা-অমিক্রন
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালী পৌরসভা কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড