হাটহাজারীর ১৪ নং শিকারপুর ইউনিয়নের হাজী দুলা মিয়া সওদাগর সড়কটির অবস্থা বেহাল। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের এই অবস্থা হয়েছে। এতে করে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
জানা যায়, হাজী দুলা মিয়া সওদাগর সড়কটি ১৪ নং শিকারপুর ইউনিয়নের ৫ নং ও ৪ নং ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি চট্টগ্রাম–রাঙ্গুনিয়া–কাপ্তাই সড়কের নজুমিয়ারহাট থেকে শুরু হয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাড়ি হয়ে এন্ডারসন সড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই সড়কটি প্রধান উপদেষ্টার পিতা হাজী দুলা মিয়া সওদাগরের নামে। নজুমিয়ারহাট থেকে এই সড়কের প্রায় ১ হাজার ফুট একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রিকশা, সিএনজি টেক্সি তো বাদ, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর। অসুস্থ রোগী কিংবা গর্ভবতী মহিলাকে কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া দুরূহ। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা। বৃষ্টির সময় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অবস্থা আরো করুণ হয়।
শিকারপুর ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান এম লোকমান হাকিম বলেন, নজুমিয়ারহাট থেকে প্রায় এক হাজার মিটার সড়ক একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই সড়কের সাথে সংযুক্ত দক্ষিণ কুয়াইশ এন্ডারসন সড়কটি কবে সংস্কার হবে জানা নেই। বিশেষ করে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় নালা না থাকায় সড়কটি বেহাল।
শিকারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সড়কটির কিছু অংশ ভালো থাকলেও প্রায় এক হাজার মিটার লোক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, আমি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালনকালে ২০১১ সালে সড়ক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। এরপর আর উন্নয়ন হয়নি। ফলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। অবিলম্বে সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করা বলে তারা জানিয়েছেন।
শিকারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুল খালেক বলেন, এই সড়কটির উন্নয়নের জন্য দুইবার উপজেলা পরিষদে তালিকা দিয়েছিলাম।
উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, সড়কটির বিষয়ে জানা আছে। এই সড়কের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয়বারও বরাদ্দের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করি এবার বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, সড়কটি সরেজমিনে দেখেছি। সড়কটির উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।