ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প-মোদীর চিঠি

| শুক্রবার , ২৮ মার্চ, ২০২৫ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলাদা চিঠিতে তারা স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কী ধরনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব চান তা নিয়েও লিখেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চিঠির কথা জানান। খবর বাংলানিউজের। চিঠিতে যা লিখলেন ট্রাম্প : অধ্যাপক ইউনূসকে লেখা চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ব্যক্তিগত এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় প্রসঙ্গে চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, পরিবর্তিত এই সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির সক্ষমতা তৈরির সুযোগ এনে দিয়েছে। আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখতে উন্মুখ বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আরও লেখেন, আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা আমাদের (দুই দেশ) দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারব। আমরা আমাদের সম্পর্ক জোরদার করবো এবং ইন্দোপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবো।

চিঠিতে যা লিখলেন নরেন্দ্র মোদী : চিঠির শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং বাংলাদেশের জনগণকে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৬ মার্চ প্রসঙ্গে চিঠিতে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস এবং ত্যাগের প্রমাণ। এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্কের জন্য আলোক নির্দেশক হয়ে আছে; যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছে এবং দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে এসেছে। দুই দেশের অংশীদারত্বকে এগিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী আরও লেখেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং দুই দেশের স্বার্থ এবং উদ্বেগের বিষয়ে আমাদের অভিন্ন আকাঙ্‌ক্ষার ওপর ভিত্তি করে আমরা এই অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালো আছেন তামিম, দুদিন পর যেতে পারবেন বাসায়
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ