ড্রামভর্তি লাশটি গৃহবধূ আতিয়ার

শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী সোহান

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা ড্রামভর্তি অজ্ঞাত নারীর মরদেহের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী আতিয়া আক্তারকে (১৮) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাষণ্ড স্বামী সোহানুর (২২) মরদেহ ড্রামে ভরে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা থেকে সোহানুরকে গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ আশিক ও লিটন নামের আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, দুই মাস আগে আপন মামাতো বোন আতিয়াকে বিয়ে করেন নির্মাণ শ্রমিক সোহানুর। মূলত দাম্পত্য কলহ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। সোহানুরের সাথে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে আতিয়া আক্তারের সাথে ঝগড়া হয়। পরে ঝগড়ার জেরে সোহানুর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১১ অক্টোবর রাতে আতিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

হত্যার পর বাসা ছেড়ে দেওয়ার অজুহাতে কিছু সময়ের জন্য ঘরের ড্রামভর্তি মালামাল বলে কর্মস্থলের গুদাম ঘরে স্ত্রীর লাশ রাখেন। পরে ১২ ও ১৩ অক্টোবর দুইদিন কর্মস্থলে কাজ করেন সোহানুর। পরে ১৩ অক্টোবর রাতে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে কর্মস্থলের গুদাম থেকে ড্রামভর্তি মরদেহ সিএনজি অটোরিকশায় তুলে পতেঙ্গা কালীবাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে সড়কের পাশে ফেলে দেন। এজন্য সিএনজি চালক লিটনকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর সোহানুর কুমিল্লা চলে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেপরোয়া যান চলাচলই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ
পরবর্তী নিবন্ধসুপার টুয়েলভ শুরু আজ