মাঠ তো নয় যেন জলাধার। আন্তর্জাতিক ম্যাচ তো বহুদূর, স্বীকৃত পর্যায়ের কোনো ম্যাচ এই মাঠে খেলা কঠিন। সেখানেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলে ফেলল আর্জেন্টিনা ও ভেনেজুয়েলা। ম্যাচ শেষে ফলাফল নিয়ে আলোচনা সামান্যই। বরং মাঠের অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। কখনও বিশ্বকাপে না খেলা ও শক্তি–সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোয় এমনিতে হতাশ থাকার কথা আর্জেন্টিনার। তবে সেই ফুটবলীয় আলোচনার উপায়ই ছিল না এ দিন। ফুটবল খেলাটাই যে হলো না। বরং জলাবদ্ধ মাঠে বল নিয়ে ছুটোছুটির চেষ্টা দেখা গেল কেবল। বৃষ্টিভেজা পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলার মতো যেন। খেলা শুরুর আগে প্রবল বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে যায়। মাঠকর্মীদের অনেক চেষ্টার পর প্রায় আধ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। কিন্তু তখনও মাঠ উপযুক্ত ছিল না মোটেও। প্রচুর পানি জমে ছিল তখনও। বারবার সেখান আটকে গেছে বল। ফুটবলাররা পিছলে পড়েছেন দফায় দফায়। স্বাভাবিক ছন্দময় ফুটবলের কোনো উপায় ছিল না সেখানে। প্রতিক্রিয়া প্রকাশে বরাবরই যিনি পরিমিত, সেই মেসিও ম্যাচ শেষে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। খুবই কঠিন ছিল। কুৎসিত এক ম্যাচ। টানা দুটি পাসও আমরা খেলতে পারিনি। মাঠে পানির জন্য বল বারবার থমকে যাচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ডান দিক থেকে কিছুটা খেলতে পেরেছি আমরা। তবে এভাবে তো খেলা কঠিন। এই অবস্থায় খেলা যায় না। মাঠে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। ফুটবল কমই হয়েছে এখানে। একইরকম ক্ষোভ ছিল ডিফেন্ডার রদ্রিগো দে পলের। আমাদের জন্য খেলার উপযুক্ত অবস্থা হলো ভালো একটি মাঠ। ভালো আবহাওয়া। যেখানে বল ছুটবে প্রত্যাশামতো। খুব বেশি কিছু তো আমরা চাই না। তাই না? আজকে এখানে ফুটবল খেলার অবস্থা ছিল না। বিরক্তি প্রকাশে পিছপা হননি কোচ লিওনেল স্কালোনিও। ফুটবল খেলার ন্যূনতম অবস্থাও ছিল না এই মাঠে। আমাদের যা করার দরকার ছিল, তা করার চেষ্টা করেছি আমরা। তবে এই পর্যায়ের দুটি দলের খেলা হওয়ার মতো অবস্থা সেখানে ছিল না। এতকিছুর মধ্যে মেসির একটি স্বস্তি ছিল দেশের জার্সিতে ফিরতে পারা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে চোট পাওয়ার পর মাস দুয়েক মাঠের বাইরে ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা। ইন্টার মায়ামির বেশ কিছু ম্যাচে যেমন খেলতে পারেননি তিনি।