ডেল্টার মতো ফুসফুস আক্রান্ত করতে পারছে না ওমিক্রন

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডেল্টা বা করোনাভাইরাসের অন্য রূপগুলোর মতো ফুসফুসের কোষের ভেতরে ঢুকে পড়তে পারছে না ওমিক্রন। মানবদেহে একটি কোষ থেকে অন্য কোষে যাওয়ার ক্ষেত্রেও করোনার অন্য রূপগুলোর মতো দক্ষ নয় ওমিক্রন। ওমিক্রনে সংক্রমিত হলে কোভিড কেন ভাইরাসের অন্য রূপগুলোর সংক্রমণের চেয়ে কম ভয়াবহ হয়ে উঠছে, কেন মৃত্যুর সংখ্যা তুলনায় কম হচ্ছে, এটাই হতে পারে তার সম্ভাব্য কারণ। সামপ্রতিক একটি গবেষণা দিয়েছে এই খবর। গবেষণাটি করেছেন ক্যামব্রিজ ইনস্টিটিউট ফর থেরাপিউটিক ইমিউনোলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের বিজ্ঞানীরা। পিয়ার রিভিউ পর্যায় পেরিয়ে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকায়।
কেন দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডে ওমিক্রনে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কোভিড ডেল্টা সংক্রমণের মতো ততটা ভয়াবহ হয়ে উঠছে না তা বোঝার ক্ষেত্রে এই গবেষণা পথ দেখাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও এই গবেষণার ফলাফল জানিয়েছে, সবক’টি পর্বের টিকা নেয়ার পর মানবদেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে ধোঁকা দিতে পারছে ওমিক্রন। কিন্তু ফুসফুসে দ্রুত ঢুকতে পারছে না। তাই কোভিড ততটা ভয়াবহ হচ্ছে না। ডেল্টা বা করোনার অন্যান্য রূপের সংক্রমণের তুলনায় তাই মৃত্যুর সংখ্যাও কম। পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে গবেষণাগারে। কোনো কোভিড রোগীর ওপর এখনো পরীক্ষা হয়নি।
ক্যামব্রিজ ইনস্টিটিউট ফর থেরাপিউটিক ইমিউনোলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্ত জানান, সবক’টি পর্বের টিকা নেয়ার পরও ওমিক্রনকে রোখার ব্যাপারে মানবদেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে কমে যাচ্ছে। তবে ফাইজারের বুস্টার টিকা ওমিক্রনের সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে সফল হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রনের তরবারির দুটি দিক রয়েছে। একটি ভোঁতা, অন্যটি ধারালো। ভোঁতা দিকটির জন্য ওমিক্রন ফুসফুসের কোষের ভেতরে ঢুকে কোভিডকে ভয়াবহ করে তুলতে পারছে না। ধারালো দিকটির জন্য টিকা নেয়ার পর তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকে ধোঁকা দিতে পারছে ওমিক্রন। এর ফলে সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না।
এদিকে কোষে ঢুকে তার প্রাচীর ফাটিয়ে দিয়ে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রেও ডেল্টার দক্ষতার ধারেকাছে নেই ওমিক্রন। ফলে ওমিক্রনের সংক্রমণ ভয়াবহ হচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫২ জেলায় নতুন রোগী নেই
পরবর্তী নিবন্ধমালয়েশিয়ায় যেতে আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ