ডেলিভারির সময় নবজাতকের মৃত্যু, অদক্ষতা ও অবহেলার অভিযোগ

হাটহাজারী প্রতিনিধি | শনিবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:১২ অপরাহ্ণ

হাটহাজারীতে ডেলিভারি করানোর সময় মাথা কেটে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে ভুক্তভোগী মো. মহিউদ্দিন এ অভিযোগ দেন। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ফতেয়াবাদস্থ “ফতেয়াবাদ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে” ডেলিভারি করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নবজাতক হাটহাজারী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্বদেওয়াননগরস্থ কালাচান ফকির বাড়ির মহিউদ্দিন ও ফারহানা দম্পতির সন্তান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভিকটিম সাদিয়া আকতার (২০) কে ডেলিভারি সক্রান্ত বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ক্লিনিকের পক্ষ থেকে বলা হয় রোগীর অবস্থা ভালো আছে এবং ডেলিভারিও নরমাল হবে। তাদের এমন কথা বিশ্বাস করে ভিকটিমদের স্বজনরা অপেক্ষা করতে থাকেন।

পরে বেলা আনুমানিক ৪ টার দিকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পরিচয় দেয়া ডা. সাবরিনা জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ। পরে মাগরিবের পর ওই ডাক্তার ও সহকারীগণ জানান, বাচ্চাটা মারা গেছে। এমন অবস্থায় বাচ্চার লাশ দেখতে চাইলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাশ দেখতে বাধা দেন।

পরে স্বজনরা জোর করে প্যাকেট খুললে দেখা যায় মাথার বাম পাশে থেতলানো রক্তাক্ত। লাশের এমন অবস্থা এবং মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক পরিচয় দেয়া ডা. সাবরিনা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা ও অবহেলাজনিত কারনে তারা ওই নবজাতককে হত্যা করেছে। এদিকে শনিবার ভোরে নবজাতকের লাশটি তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

ভিকটিমের স্বামী মহিউদ্দিন এবং ভাগিনা রাকিব চৌধুরী জয় জানান, এ ঘটনায় আমরা হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারা অভিযোগ না নিয়ে সিভিল সার্জেন বরাবরে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো, এতে যদি চিকিৎসকের অবহেলা বা দোষী হন তবে সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ইউএনও সাহেবের তত্বাবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবেন। তারপর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দৈনিক আজাদীকে বলেন, এ বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তদন্ত করছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরিমান্ড নামঞ্জুর, ২৩ মিয়ানমার নাগরিককে কারাগারে প্রেরণের আদেশ
পরবর্তী নিবন্ধরামুতে ২ কোটি টাকার স্বর্ণের চুড়ি নিয়ে নারী ধরা