ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার উপর জোর দিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, নগরের প্রত্যেক সংস্থা, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ ও সবাইকে সম্পৃক্ত করে নাগরিকদের সচেতন করতে পারলে করোনার মতো ডেঙ্গুও প্রতিরোধ সম্ভব। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোধে আমাদের সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনার মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গতকাল টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কার্যালয়ে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র।
তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে যে সমস্ত জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেখানে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে তার জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। নালা–নর্দমায় এডিস মশা জন্মায় না। পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বসা–বাড়ির আশেপাশে ডাব ও নারকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ছাদ বাগান ও ফ্রিজে জমানো পানি তিন দিনের বেশি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসা বাড়ি, ছাদ ও আঙ্গিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। তিনি চট্টগ্রাম নগরীকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি পরিচালক ডা. মো. সাখওয়াত উল্লাহ্, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ডা. হোসাইন সরোয়ার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. নরুল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত জেলা কীটতত্ত্ববিদ সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ম্যালিরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. সরফুল ইসলাম মাহী, উপ–প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী।