চট্টগ্রামে এ বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেড়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার ফলে বিভিন্ন নালা, নর্দমা, ভাঙ্গা সড়ক, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব, টায়ারে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু ভাইরাস চার রকমের আর এই চারটি ভাইরাসের প্রতিরোধে কাজ করে এমন ভ্যাক্সিন এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। চট্টগ্রাম নগরীতে মশক নিধনে ওয়ার্ডে ও মহল্লায় আগের মতো এখন আর ঘুরে ঘুরে মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম নেই বললেই চলে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় এই যে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, তার অর্ধেকই হচ্ছে শিশু। এছাড়াও মোট আক্রান্তের মধ্যে ২৫ শতাংশের বেশি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শিশুরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অল্পতেই শরীরের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয় তাই অভিভাবকদের অবশ্যই এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে এ মৌসুমে দিনে হোক কিংবা রাতের বেলায় শিশুরা ঘুমালে অবশ্যই মশারি টানাতে হবে। প্রয়োজন হলে ফুল প্যান্ট ও ফুল হাতার জামা পরিয়ে রাখতে হবে। জ্বর আসলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সাথে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনকে মানসম্মত মশক নিধন কীটনাশকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এখনই যদি ডেঙ্গুর লাগাম টানা না যায় তাহলে সামনে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। সর্বোপরি এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রতিটি মানুষকে ব্যক্তিগত সতর্ক থাকতে হবে।












