ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৯ সিদ্ধান্ত

নির্মাণাধীন ভবন ও ছাদ বাগান মালিকদের স্প্রে মেশিন রাখা বাধ্যতামূলক, বিনামূল্যে কীটনাশক দেবে চসিক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২১ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরের নির্মাণাধীন ভবন ও ছাদ বাগান মালিকদের মশার কীনাশক ছিটানোর স্প্রে মেশিন রাখা বাধ্যতামূলক করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। নিজস্ব খরচে এ স্প্রে মেশিন সংগ্রহ করতে হবে তাদের। এছাড়া ভবন মালিকদের প্রতি তিন দিন পর পর স্প্রে বা ফগিং করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ওয়ার্ড অফিস থেকে বিনামূল্য কীটনাশক সংগ্রহ করতে পারবেন তারা।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সব সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বিকেলে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। এতে সভপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী।

সভায় ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৯টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই হাজার লিটার লার্ভিসাইড (মশার লার্ভা মারার কীটনাশক), ১৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড (পূর্ণাঙ্গ বা উড়ন্ত মশা মারার কীটনাশক) এবং পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য ১০০ লিটার মসকুবার ও এর জন্য প্রয়োজনীয় ন্যাপথা ক্রয় করা।

ডেঙ্গু বিরোধী প্রচারণা জোরদারের লক্ষ্যে নতুন করে দুই লক্ষ লিফলেট ছাপানো হবে। সভায় মশক নিধন কার্যক্রম ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্য দিয়ে কৌশলে অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে মশক নিধন কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেয়া হলো বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চসিকের এক কর্মকর্তা জানান। এ ছাড়া ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আরবান ভলান্টিয়ার ও রেডক্রিসেন্ট টিমকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। সকল আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি/ সেক্রেটারি বরাবর মাননীয় মেয়র স্বাক্ষরিত পত্র প্রেরণের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রত্যেক সমিতির নিজস্ব করণীয় বিষয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।

ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে প্রচারণা ও আবাসিক সমিতির সাথে বৈঠক করার সুপারিশ করে কমিটি। এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম ও মন্দিরের পুরোহিতদের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির উপর জোর দেয়া হয়।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত এস্কেভেটর/ পে-লোডার এবং ডাম্প ট্রাক সরবরাহের জন্য যান্ত্রিক শাখাকে চাপ প্রয়োগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া সপ্তাহব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধী ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য প্রতি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরগণের অনুকূলে ১৫ হাজার টাকা ও আবাসিক এলাকায় উঠান বৈঠকের খরচ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা করে প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোবারক আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে করণীয় ও কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধনের ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬ সপ্তাহেই বিপর্যয় লিজ ট্রাসের পদত্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধরিজার্ভ নামল ৩৬ বিলিয়নের নিচে