পারিবারিকভাবে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয় ইসরাত জাহান তামান্নার। ঠিক হয় কমিউনিটি সেন্টারও। তামান্নার বয়স ২৩ বছর। এদিকে এ বিয়েকে কেন্দ্র করে পুরো বাড়িজুড়ে সকলই আনন্দে ভাসছিল।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বলিরহাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের পুত্র প্রবাসী মোঃ সাহেদ এর সাথে। এরই মধ্যে তামান্নার শরীরে জ্বর হয়। তখন তার শরীর আস্তে আস্তে অবনতি হতে থাকে।
এদিকে শরীরের অবনতি দেখে এ সময় তার পরিবার চট্টগ্রামে অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান পরীক্ষা করানোর জন্য। এ অবস্থায় পরে তাকে অপর আরোও একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে দুইদিন আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) মৃত্যু ও ডেঙ্গু জ্বরের সাথে জীবন যুদ্ধ করে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ নভেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যা ৬ টার সময় মারা যায় সে। এদিকে তামান্নার নিহতের খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও স্বজনদের কান্নায় মহুর্তে আকাশ বাতাশ ভারি হয়ে উঠে।
তামান্না সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদাম বিবিরহাট এলাকার মোঃ দিদারুল আলমের মেয়ে।
তামান্নার মামা শাহেদ মিয়া বদি বলেন, এ মৃত্যু কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ভাগ্নিকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও তাকে আর বাঁচাতে পারিনি। আমার ভাগ্নি ভুল চিকিৎসার কারনেই মারা গেছে। ওমান প্রবাসী মোঃ সাহেদ এর সাথে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল।
কিন্তু আমার ভাগ্নি আর বিয়ের পিড়িঁতে বসতে পারলোনা। তার আগেই পৃথিবী ছেড়ে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চিরতরে চলে গেল। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন সম্পন্ন করা হয়।