আগামী ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাশাপাশি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান বক্তার বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান। ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে’ বিএনপি এ সভার আয়োজন করে। খবর বাংলানিউজের।
তারেক রহমান বলেন, আমরা মনে করি প্রস্তাবিত সংস্কার শেষ করে, যদি তাদের ইনটেশন (ইচ্ছে) সঠিক থাকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেবে, তবে ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। এ সরকার ১০ মাসেও জাতীয় নির্বাচনের তারিখ দেয়নি, ফলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দেশে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হচ্ছে না। ব্যাবসায়িক সংগঠনগুলো বলছে, শত শত কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধের উপক্রম এমন অনেক। তারা সরকারের কাছে তা তুলের ধরার সুযোগ পাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ নেই অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছাড়া প্রশাসন ও ফাইল দিয়ে সব সমস্যার সমাধান যদি করা যেত, তবে রাজনীতির প্রয়োজন হতো না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন।