সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদ প্রতিবছর ডিসি হিলে বাংলা বর্ষবিদায় ও বরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছরের মত এবার ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন করে সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদ। গতকাল চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের অনুমতি মিলেছে। জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে সভা শেষে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এবার সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রশাসন সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে।
সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদ, চট্টগ্রাম ডিসি হিলে ১৪৩২ বর্ষবরণ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন কর্তৃক কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশেষ সভা গতকাল চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা তিনটার দিকে সভাটি শেষ হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামানসহ জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ।
সভা শেষে পরিষদের সমন্বয়ক সুচরিত দাশ বলেন, সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আমরা বলেছি, শেষ করতে হয়তো ১৫ মিনিট বেশি সময় লাগতে পারে। কারণ, আমাদের সংগঠন বেশি।
আগামী সোমবার বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ডিসি হিলে শুরু হবে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে। ৫০টির বেশি সংগঠন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেবে। এবার ডিসি হিলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি ৪৭ বছরে পা দিচ্ছে। আগে বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান দুই দিনব্যাপী হতো। করোনার পর থেকে এক দিনের আয়োজন হচ্ছে।
এদিকে গতকাল বেলা ১১টায় নগর পুলিশ কার্যালয়ে নববর্ষ উদ্যাপন সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এতে ডিসি হিল, সিআরবি ও শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠেয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা উপস্থিত ছিলেন।