নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম। এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং মুলার মতো সবজি। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতকালীন সবজির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ওই অর্থে খুব বেশি বাড়েনি। ব্যবসায়ীদের দাবি নাকচ করে ভোক্তারা বলছেন, শীতকালীন প্রায় সবজির কেজি ১০০ টাকার ওপরে। আমরা যতটুকু জানি দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরেও দাম কমছে না। নগরীর কাজীর দেউড়ি এবং ব্যাটারি গলি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, শিম ১১০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০ টাকা এবং মুলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে বেগুন ৬০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, শসা ৭০, চিচিঙ্গা ৬০, বরবটি ৭০ টাকা, পটল ৬০, পেঁপে ৩০ টাকা, চালকুমড়া ৫০, ঢেঁড়স ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা এবং কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, বাজারে আসলে যেসব সবজি আসছে, সেগুলো আড়ত থেকে আমাদেরকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার ফলে খুচরায়ও দাম বেশি। এছাড়া শীতকালীন সবজি দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে, সরবরাহ খুব বাড়েনি। সবজি ছাড়াও মুরগি এবং ডিমের দামও চাঙা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগির কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। মুরগি বিক্রেতা সুরুজ মিয়া বলেন, মুরগির সরবরাহ কম। তাই দাম বেশি।
খামারীরা বলছেন, তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সে কারণে আমাদের বেশি দামে মুরগি সরবরাহ দিচ্ছেন। একই কারণে ডিমেরও দামও বাড়তি। ইলিয়াস আহমেদ নামের একজন ক্রেতা জানান, বাজারে এমন কোনো পণ্য নেই যে, দাম বাড়েনি। এতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তশ্রেণীর ক্রেতাদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না হলে এই অবস্থা চলতে থাকবে।