হালদা থেকে সংগৃহীত ১৪ হাজার কেজি ডিম থেকে উৎপাদন করা হয়েছে ৩০০ কেজি রেণু। পোনা উৎপাদনের পর গতকাল মঙ্গলবার মৎস্যজীবীরা অনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি উৎসব করেছে। প্রতি কেজি রেনুর দাম পাওয়া যাচ্ছে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে আসন্ন ঈদ উল আযহা ও বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে রেণু ক্রেতার সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বিকালে হালদা নদীর সর্তার ঘাট পয়েন্টে পোনা বিক্রি উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈরাগী। প্রথম দিন রাউজান উপজেলায় বিক্রি হয়েছে তিন কেজি ৭০০ গ্রাম রেনু। দাম পাওয়া গেছে প্রতি কেজি এক লাখ ১০ হাজার টাকা করে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, হালদার এই রূপালী সম্পদ আমাদের দেশের জন্য সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ। এই সম্পদের খনিকে আগামী প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে হালদা পাড়ের সকল মানুষকে মা মাছ চোরদের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্ছার থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মঞ্জুরুল কিররিয়া। তিনি বলেন, নদীতে জালপাতার বিরুদ্ধে নদীর পাড়ের মানুষের পাশাপাশি প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকার কারণে ডিম সংগ্রহকারীরা আশানুরূপ ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। আজ (মঙ্গলবার) নদীর পাড়ে পোনা বিক্রি উৎসব চলছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজাদী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির প্রমুখ।
এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় হাটহাজারীর গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকার ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর প্রথম ডিম থেকে উৎপাদিত রেনু বিক্রি শুরু করেছেন বলে জানান। হালদা রিভার্স রিচার্স ল্যাবরেটরির তথ্য মতে এবার ৩০০ কেজি রেনু উৎপাদন হয়।
