ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ডিম আমদানির হুমকি দিলেও তাতে সায় নেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের। ডিমের দাম বাড়তি বলে স্বীকার করে নিলেও এই সংকটের সমাধানে বাজার ব্যবস্থা বিন্যাসের উপর জোর দিচ্ছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ডিমের দামে রেকর্ড উল্লম্ফন সরকারকেও ভাবিয়ে তুলেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর এরই মধ্যে বাজারে বাজারে অভিযানে নেমেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সংকট সমাধানে ডিম আমদানির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সায় পেলেই আমদানিতে যাবেন তারা।
এদিনই ডিমের দাম নিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি মুরগির ডিম এখন বাজারে ১৪ টাকায় বিক্রি হলেও তা ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিৎ নয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, একটি ডিম উৎপাদন করতে সাড়ে ১০ টাকার ওপর খরচ পড়ে। অন্যান্য ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে কিছু লাভের বিষয় থাকে। আমার কাছে মনে হয়েছে, একটি ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি নির্ধারিত হওয়া উচিৎ না। এই ১২ টাকা নির্ধারিত হলে উৎপাদনকারীদের লাভ হবে।
সেক্ষেত্রে ডিম আমদানি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের দিকে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানি করা না করার বিষয়টি আমরা অন্যভাবে বিবেচনা করব। এই বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইন্ডিপেন্ডেন্টলি বিবেচনা করবে কী করবে না, এটা তাদের বিষয়। আমার কাছে মনে হয়েছে দেশে ডিমের যে উৎপাদন আছে, আমরা যদি বাজার ব্যবস্থার বিন্যাস করতে পারি, তবে আমদানির কোনো প্রয়োজন হবে বলে আমার মনে হয় না।
ডিমের দাম কমাতে উৎপাদনকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এরপরেও যদি কেউ জনদুর্ভোগ ডেকে নিয়ে আসেন, তা দেখভাল করার জন্য ভোক্তা অধিকার আইন আছে। ভোক্তাদের অধিকার দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ আছে, তারা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবেন।