ডিবি পরিচয়ে নগরের বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল মোড় এলাকা থেকে অপহৃত দুই যুবককে উদ্ধার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় মো. ইসলাম সিদ্দিকী (৩০) ও মো. রাসেল (২৮) নামে দুই অপহরণকারীকে। গত সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়। সিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত রোববার রাত ৯টার দিকে মো. রবিউল ইমতিয়াজ উদ্দিন সায়েদ (১৮) ও ভাই মো. ফয়েজ উদ্দিন (২৫) মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ফটোকপি করার জন্য টেক্সটাইল মোড়ে যান। এর আধঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে অপহরণকারীরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পূর্ব–পরিকল্পিতভাবে সায়েদ ও ফয়েজকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের ড্রিমল্যান্ড আবাসিক–২ এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে আটকে রাখে এবং তাদের মোবাইল দিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে।
পুলিশ জানায়, ওইদিন রাত সাড়ে ১১টায় সায়েদ এর মোবাইল থেকে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা জানায়, সায়েদ ও ফয়েজ তাদের হেফাজতে আছে। তাদের অক্ষত অবস্থায় পেতে হলে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। পরে সায়েদ ও ফয়েজকে মারধর করে কান্নার আওয়াজ মাকে শুনিয়ে দাবিকৃত অর্থ দেয়ার জন্য চাপ দেয়। পরদিন বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে অভিযানে নামে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পরদিন সোমবার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় স্থানীয় বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশসহ অভিযান চালিয়ে দুপুর ২টার দিকে অঙিজেন মোড় থেকে অপহরণকারী মো. ইসলাম সিদ্দিকীকে আটক করে।
পরে আটক সিদ্দিকীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ড্রিমল্যান্ড আবাসিক–২ এলাকার একটি পরিত্যক্ত ফ্রিজের ওয়ার্কশপ (জাকিরের ফ্রিজের ওয়ার্কশপ) মো. রাসেলক আটক করা হয়। একইস্থান থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় ভিকটিম সায়েদ ও ফয়েজকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় অপহরণকারী চক্রের ৩–৪ জন সদস্য পুলিশের উপস্থিতিতে পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় বলে সিএমপি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সায়েদ ও রাসেলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ১টি মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও মানি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।