চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ডিপ্লোমা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ‘লাল কার্ড’ প্রদর্শন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে এ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা হাতে লাল কার্ড তুলে ধরে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ভয়ভীতি ও হুমকির অভিযোগ উত্থাপন করেন। তারা জানান, হত্যার ও ধর্ষণের মতো হুমকির মাধ্যমে চলমান তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
উক্ত কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুল আলম, উপপরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মাসুম রানা প্রামানিক এবং অধ্যাপক ড. মো: আবু মোয়াজ্জেম হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। তারা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
চুয়েট শিক্ষার্থীদের মতে, ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই চলবে এবং এ পথে কোনো ধরনের ভয়ভীতি বা দমননীতি মেনে নেওয়া হবে না। যৌক্তিক সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত সংকট নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইফতেখার মাহমুদ বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি হচ্ছে আমাদের প্রতিবার ডিপ্লোমা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। গায়ের জোরে, হুমকি ধামকি দিয়ে আমাদের ন্যায্য দাবি আটকে রাখা যাবেনা, আমাদের পিছু হটানো যাবে না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামছিনা।
প্রসঙ্গত, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পেশাগত মর্যাদা রক্ষার দাবিতে সম্প্রতি ঢাকায় আন্দোলনের সময় পুলিশি লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি এর আগে নেসকো অফিসে উপস্থিত এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম হোসেন এবং তার প্রায় ২০–২৫ জন ডিপ্লোমা-সম্পন্ন সহকর্মী দ্বারা প্রকৌশলী রোকনকে হত্যার হুমকি এবং কতিপয় ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী কর্তৃক এক বুয়েট ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ ওঠে, যা দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়েট শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ, মশাল মিছিল ও মানববন্ধনের পর আজ ‘লাল কার্ড’ কর্মসূচি পালন করেছে।