সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে ঢাকা-চট্টগ্রামের ২৮ পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৬ ডলারের রপ্তানি পণ্যের থাকার তালিকা তৈরি করেছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বিজিএমইএর কর্মকর্তারা বলছেন, তালিকাটা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এখনো ক্ষতিগ্রস্থ অনেক পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে হিসেব পাওয়া যায়নি।
বিজিএমইএর আংশিক তালিকায় দেখা যায়, ১৭টি প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাক জার্মানি, নিউ জিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। এসবের মধ্যে এইচএন্ডএম, এমবিএইচ, টপ গ্রেড, গ্যাস্টন, টার্গেট, ও বিএএসএস ব্র্যান্ডের পণ্য ছিল। এরমধ্যে ঢাকার ১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিন শিন অ্যাপারেলস লিমিটেডের ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৫ ডলার, কেএ ডিজাইন লিমিটেড ৩ লাখ ২০ হাজার ৫১০ ডলার, জেএফকে ফ্যাশন লিমিটেডের ২ লাখ ২ হাজার ৪৭৩ ডলার, একেএইচ নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের ১ লাখ ৬২ হাজার ৪২০ ডলার, ভার্সাটাইল টেক্সটাইল লিমিটেডের ৯৩ হাজার ৫১০ ডলার, রিও ফ্যাশন লিমিটেডের ৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫ ডলার, ভিশন অ্যাপারেলস লিমিটেডের ২৫ হাজার ৭৪৬ ডলার, ইমপ্রেস-নিউটেঙ কম্পোজিট টেঙটাইল লিমিটেডের ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৯ ডলার, আমান টেঙটাইল লিমিটেডের ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৫৫ ডলার, আয়েশা ক্লথিং কো. লিমিটেডের ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৩ ডলার, আসওয়াদ কম্পোজিট মিলস লিমিটেডের ৩ লাখ ৩০ হাজার ১২১ ডলার, টিআরজেড গার্মেন্টস লিমিটেডের ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৫ ডলার, রেমি হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯৯ হাজার ২৮৬ ডলার, টারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেডের ৬ লাখ ৩০ হাজার ৭৬ ডলার, কেসি বটম অ্যান্ড শার্টস ওয়্যার কোম্পানির ১ লাখ ৪০ হাজার ৩২২ ডলার এবং ভ্যানগার্ড গার্মেন্টস লিমিটেডের ৯৩ হাজার ৩৫৫ ডলারের রপ্তানি পণ্য ছিল।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সি ব্লু টেঙটাইল লিমিটেডের ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৫৫ ডলার, অ্যারো ফেব্রিঙ প্রাইভেট লিমিটেডের ৩ লাখ ২০ হাজার ৫০০ ডলার, ক্লিফটন টেঙটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, ভেনচুরা (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং ক্লিফটন কটন মিলস লিমিটেডের ২ লাখ ৫৮ হাজার ১৯০ ডলার, সুজি ফ্যাশনস লিমিটেডের ৪৪ হাজার ২২৬ ডলার, এভালন ফ্যাশন লিমিটেডের ২ লাখ ১৪ হাজার ৪২৯ ডলার, স্যানটেঙ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ১ লাখ ৩৯৪ ডলার, ডিভাইন ইনটিমেটস লিমিটেডের ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৯৩ ডলার, ডিভাইন ডিজাইন লিমিটেডের ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৪ ডলার, বিলেমি টেঙটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫ ডলার এবং প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের ১৩ লাখ ডলারের রপ্তানি পণ্য ছিল বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এখন পর্যন্ত যে হিসেব পেয়েছি সেই মতে বিএম ডিপোতে ২৮টি পোশাক কারখানার ১ কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৬ ডলারের রপ্তানি পণ্য ছিল। আমরা সবগুলো পোশাক কারখানা থেকে হিসেব পাওয়ার পরে মোট ক্ষতির পরিমাণ জানতে পারবো।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণে মোট ৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে জানিয়েছে প্রশাসন।