ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর খেলায় জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমনের সেঞ্চুরিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩৯ রানে আবাহনী লিমিটেডকে পরাজিত করে।
লিগ পর্বের ১১ ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচ ছিল এটি। ম্যাচ সেরা আনিসুল ১১৮ বলে ১১৪ রান করেন। এ ম্যাচ হারলেও ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার সিক্সে খেলবে আবাহনী। সমানসংখ্যক ম্যাচে আবাহনীর সমান ১৮ পয়েন্ট আছে মোহামেডানেরও। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। আবাহনীর ১.৪৬৮ রান রেটের বিপরীতে মোহামেডানের রান রেট ০.৭৭১। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আবাহনী। রনি তালুকদারকে নিয়ে ৫ ওভারে ৩৩ রানের সূচনা করেন আনিসুল। ১টি করে চার–ছক্কায় ১৬ রান করে পেসার নাহিদ রানার শিকার হন রনি। রনির বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েন আনিসুল ও উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। হাফ–সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে থামেন অঙ্কন। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয় ৩ ও মুশফিকুর রহিম ২০ রানে আউট হলেও অন্যপ্রান্তে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আনিসুল। ৩৯তম ওভারে রানার দ্বিতীয় শিকার হন ১৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৮ বল খেলে ১১৪ রান করা আনিসুল। দলীয় ২৩১ রানে আনিসুলের বিদায়ের পর বেশি দূর যেতে পারেনি মোহামেডান। ৪৮.২ ওভারে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। শেষদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১৮ রান করেন। রানা ৪৯ রানে ৩টি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও রাকিবুল হাসান ২টি করে উইকেট নেন। জবাবে ভালো শুরু পায়নি আবাহনী। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। পারভেজ হোসেন ইমন ১৬, জিশান ইসলাম ৩ ও মোহাম্মদ মিথুন ১৯ রানে আউট হন। চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রানের জুটিতে আবাহনীকে লড়াইয়ে ফেরান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোমিনুল হক। ২৫ রান করে আউট হন মোমিনুল। ১ রান করে রাব্বি আউট হলে আবারও চাপে পড়ে আবাহনী। ১৩২ রানে ৫ উইকেট পতন হয় তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন শান্ত ও নতুন ব্যাটার মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু ৪৪ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তারা। ২৪ রান করা মোসাদ্দেককে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন মোহামেডান পেসার এবাদত হোসেন। মোসাদ্দেক ফেরার কিছুক্ষণ বাদে সাজঘরে ফিরেন শান্তও। আর সেখানেই শেষ হয়ে যায় আবাহনীর জয়ের আশা। শেষ পর্যন্ত ৪৭.২ ওভারে ২২৫ রানে শেষ হয় আবাহনীর ইনিংস। ৭টি চারে দলের পক্ষে ১১৩ বলে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন শান্ত। এবাদত ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন। মিরাজ ও সাইফুদ্দিন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।