ডিএসই পরিচালকের শেয়ার কারসাজি, তদন্তের নির্দেশ

| বৃহস্পতিবার , ২৭ জুন, ২০২৪ at ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজি, কোম্পানির গোপন তথ্য আগাম জেনে অবৈধভাবে শেয়ার ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ডিএসইকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

তদন্তকালীন সময়ে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে সব ধরনের কাজ থেকে বিরত রাখতেও ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। উপসচিব ফরিদা ইয়াসমিনের সই করা এসব নির্দেশনার চিঠি বুধবার পাঠানো হয় বিএসইসি চেয়ারম্যান ও ডিএসইর কাছে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগগুলো তদন্ত এবং কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করে মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের চিঠি না পেলেও আগে থেকেই শেয়ার কারসাজির বিষয়ে তদন্ত করছে ডিএসই।

মন্ত্রণালয়ের চিঠি এখনো পাননি জানিয়ে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে, তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে।

স্টক এঙচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা আলাদাকরণ) আইন মেনে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। নিয়োগ পাওয়ার তিন মাস পরই তিনি শেয়ার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েন, এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক যুগান্তর, সেখানে বলা হয়, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তিনটি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছেন পরিচালক হওয়ার পর থেকে।

নিয়ম অনুযায়ী, স্বতন্ত্র পরিচালকরা শেয়ার লেনদেন করলে তা এক মাসের মধ্যে ডিএসইর ‘কনফ্লিক্ট মিটিগেশন কমিটিতে’ রিপোর্ট করতে হয়। লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য জানাতে হয় সেখানে। এটি না করা অপরাধ বলে জানিয়েছেন বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সেই তথ্য ডিএসইতে জমা দেননি। শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির আগাম তথ্য জেনে কেনাবেচা, ডিএসইর পক্ষ থেকে ভেঙে দিতে যাওয়া কোম্পানির পর্ষদ সম্পর্কে আগাম তথ্য জেনে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

গত ৬ জুন প্রকাশিত যুগান্তরের প্রতিবেদন সূত্রের বরাত দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডিএসই ও বিএসইসির আইন, যাবতীয় বিধি অথবা নিদের্শনা পরিপন্থী কার্য করেছেন কিনা, তাও তদন্ত করে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দিতে হবে দুই তদন্ত কমিটিকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারেককে ফেরাতে আইনি জটিলতা আছে, প্রচেষ্টা চলমান : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচ বছরেই হওয়া যাবে জার্মান নাগরিক, ছাড়তে হবে না দেশের পাসপোর্ট