ড. ফ্রান্সিস ক্রিক পুরোনাম ফ্রান্সিস হ্যারি কম্পটন ক্রিক। তিনি ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ইংরেজ পদার্থবিদ, আণবিক জীববিজ্ঞানী এবং স্নায়ুবিদবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৫৩ সালে ডিএনএ অণুর গঠনের ৪ জন আবিষ্কারকের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হিসাবে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেন। তিনি, জেমস ডি ওয়াটসন এবং মরিস উইলকিন্স-নিউক্লিয়িক এসিডের আনবিক গঠন এবং জীবিত বস্তুতে তথ্য স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এদের তাৎপর্য সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য ১৯৬২ সালে শরীরতত্ত্ব অথবা ভেষজবিদ্যা শাখায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। রাসায়নিক পদার্থ যা জীবনের কার্যাদি বংশগত নিয়ন্ত্রণের জন্য চূডান্তভাবে দায়ী, এই সিদ্ধি জেনেটিক্সের ভিত্তি হয়ে ওঠে এবং বিংশ শতাব্দীর জীববিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হিসাবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্রিক নৌযুদ্ধের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য চৌম্বকীয় খনিগুলির বিকাশে পদার্থবিদ হিসাবে কাজ করেন। কিন্তু পরে তিনি স্ট্রঞ্জওয়েজ রিসার্চ ল্যাবরেটরি, ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজ (১৯৪৪) এর জীববিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেন। জীবের মধ্যে পাওয়া বৃহত অণুগুলির ত্রি-মাত্রিক কাঠামো নির্ধারণের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে ক্যাভেনডিশ ল্যাবরেটরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল গবেষণা কাউন্সিল ইউনিটে স্থানান্তরিত হন।
এরপরে তিনি ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত এমআরসি(ল্যাবরেটরি অফ মোলেকিউলার বায়োলজিতে কাজ করেন। পরবর্তিতে তিনি সল্ক ইন্সটিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল স্টাডিজ’এর যে ডব্লিউ কিয়েখেফার ডিস্টিংগুইশড রিসার্চ অধ্যাপক হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলাতে বাকি জীবন অতিবাহিত করেন।
তিনি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই ইংল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেন।