বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিসের হার। শুধু তাই নয়, দেশের সবচেয়ে বেশি ডায়াবেটিস আছে যে তিনটি জেলায় তার মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থাকলেও তরুণদের মধ্যে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা খুবই কম। তরুণ প্রজন্মকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো ডায়াবেটিস সামিট। আয়োজনে ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেঙট জেনারেশন সিকুয়েন্সিং এণ্ড ইনোভেশন ল্যাবরেটরি (এনরিচ), ডিজিস বায়োলজি এন্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ (ডিবিএমই), এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন এর জনস্বাস্থ্য বিভাগ। দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিল ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা, ডায়াবেটিস নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি প্রতিযোগিতা, ডায়াবেটিস নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ডায়াবেটিস নিয়ে চট্টগ্রামে গত ৪ বছরে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা কর্মকাণ্ড উপস্থাপন। আয়োজনের উদ্বোধন করেন এশিয়ান ওমেন ইউনিভার্সিটির ডিন ড. ডেভিড টেইলর। এছাড়া উদ্বোধনী পর্বে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুর রব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এণ্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক ডা. মাসুদ রানা। উদ্বোধনের পরবর্তীতে ডায়াবেটিস সম্পর্কিত কর্মশালা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান ডা. ফারহানা আক্তার। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হয় আন্তঃস্কুল এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কুইজ প্রতিযোগিতা। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় ডাঃ খাস্তগীর স্কুল। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. ইসমাইল খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তার, সিভাসুর অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজি ফাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ তৌহিদ হোসাইন, অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম, অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইসমাঈল খান বলেন, ডায়বেটিস নিয়ে যত বেশি সচেতনতামূলক কর্মকান্ডে স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীদের কে যুক্ত করা যাবে তত বেশি ডায়বেটিস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭৭জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।