ডাবের পানি পান করে সাড়ে ১০ লাখ টাকা খোয়ালেন যাত্রী

অজ্ঞান পার্টির ৩ জন গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর বড়ঘোনা গ্রামের জনৈক আবদুল্লাহ আল মামুন (৩০) গত ২১ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টায় ফেনীর বাসস্ট্যান্ড থেকে সিডিএম বাসযোগে কর্মস্থল মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া আসছিলেন। তিনি বাসের পেছনের সিটে বসেছিলেন। এ সময় গাড়িতে একজন ডাব বিক্রেতা ওঠে। পিপাসা লাগায় ৫০ টাকা দিয়ে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে তিনি একটি ডাব কিনেন। ডাবের পানি পান করার পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ডাবের পানির সাথে ঘুমের ওষুধের গুঁড়া মিশিয়ে খাইয়ে তার পকেট থেকে মানিব্যাগ, মোবাইল ও নগদ টাকা এবং দুটি এটিএম কার্ড নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টি।

ওইদিন আনুমানিক পৌনে আটটার সময় মামুনকে পাহাড়তলী থানার একে খান মোড়ে বন্দর ফিলিং স্টেশনের সামনে অচেতন অবস্থায় গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। প্রায় দুই দিন পর জ্ঞান ফিরে আবদুল্লাহ আল মামুন দেখেন এরমধ্যে তার দুটি এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের এটিএম বুথের সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে অজ্ঞানপার্টির সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট গাড়িটি শনাক্ত করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পৃথক অভিযানে এই চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে নগরীর পাহাড়তলী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হল সোহাগ ঘরামী (৪২), বিপ্লব চন্দ্র অধিকারী (৪১) এবং শাহাদাত হোসেন (৫০)। এ চক্রের আরো তিনজন পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এই ব্যাপারে পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (ওসি) জহির উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ব্যাংকের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বাসটি শনাক্ত করা হয়। ওই ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার ইমাম হোসেনকে সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার সময় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে অজ্ঞান পার্টির প্রধান বরগুনার পাথরঘাটার ফজলু ঘরামীর ছেলে সোহাগ ঘরামী (৪২) ও ঝালকাঠির রাজাপুর নৈকাঠি গ্রামের অধীর চন্দ্রের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র অধিকারীকে (৪১) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরগুনার পাথারঘাটা থানা এলাকা থেকে পাথারঘাটার গুটাবাছা গ্রামের মৃত নিজাম ফকিরের ছেলে শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা কৌশলে মানুষকে অজ্ঞান করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। গ্রেফতারকালে আসামীদের হেফাজত থেকে চেতনানাশক ঘুমের ঔষধ, ১০ গ্রাম চেতনানাশক পাউডার, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ৩টি এবং নগদ ৯ হাজার ৭৫০ টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি, চার শর্ত