চট্টগ্রামের ডাবল মার্ডার মামলায় রীতিমতো চাঞ্চল্যকর মোড়। পুলিশের রিমান্ডে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা ফাঁস করেছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমীন। রবিবার (২৪ আগস্ট) তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, জেরার মুখে তামান্না স্বীকার করেছেন—ডাবল মার্ডারের টার্গেট ছিলেন ব্যবসায়ী সরোয়ার ও তার ড্রাইভার। তবে সরোয়ার অল্প সময় আগে গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। পুরনো শত্রুতার জেরেই সরোয়ার ছিল এই হত্যার মূল লক্ষ্য। আরও চাঞ্চল্যের বিষয়, হত্যাকাণ্ডে স্বামী সাজ্জাদ ছাড়াও অন্য কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছেন তামান্না।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ, অক্সিজেন ও চান্দগাঁও এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানো ছোট সাজ্জাদ ওরফে ‘বুড়ির নাতি’ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে একের পর এক রক্তাক্ত খুনের অভিযোগ রয়েছে।
২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় মাসুদ কায়সার ও মোহাম্মদ আনিসকে। এরপর ২১ অক্টোবর দিবালোকে অদূরপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই খুনের পেছনেও ছিল ছোট সাজ্জাদ। ডিসেম্বর মাসে তাকে ধরতে গেলে অক্সিজেন মোড়ে পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পালায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসী।
শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর একটি অভিজাত শপিং মল থেকে নাটকীয়ভাবে ধরা পড়ে ছোট সাজ্জাদ। বর্তমানে কারাগারে বন্দি সে। আর এবার স্ত্রী তামান্নার স্বীকারোক্তিতে আবারও কেঁপে উঠল চট্টগ্রামের অপরাধ জগত।
চট্টগ্রামের ডাবল মার্ডার মামলায় তামান্নার স্বীকারোক্তি শুধু নয়, খুনের নেপথ্যের জট খুলতে পারে আরও বড় চক্রের দুয়ার—এমন আশঙ্কাই করছেন তদন্তকারীরা।