দিনের শুরুতে কিছুটা ছন্নছাড়া থাকলেও দিন শেষে পাকিস্তানই জিতেছে দুর্দান্ত প্রতাপে। বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে পাকিস্তান।
যদিও ম্যাচের শুরুতে ডাচ বোলাররা কাঁপিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের তিন সেরা ব্যাটার ফখর জামান, ইমাম উল হক এবং অধিনায়ক বাবর আজম ফিরেন ৩৮ রানের মধ্যে। চতুর্থ ওভারেই ১৫ বলে ১২ রান করে ফিরেন ফখর। ১৮ বলে ৫ রান করে ফিরেন বাবর। দলের রান ছিল তখন ৩৪। ১৯ বলে ১৫ করে আউট হয়ে যান ইমাম–উল হকও। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় মোহাম্মদ রিজওয়ান আর সৌদ শাকিলের জুটি। ১১৪ বলে তাদের ১২০ রানের জুটি ভাঙে ৫২ বলে ৬৮ করে শাকিল সৌদ ফিরলে। এরপর রিজওয়ানও ঠিক ৬৮ রান করেই আউট হন।
দুই বল পর ফিরেন ইফতিখার আহমেদও। করেন ১১ বলে ৯ রান। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নওয়াজ আর শাদাব খান। ৭০ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন তারা। শাদাব ফিরেন ৩৪ বলে ৩২ রান করে। সে ওভারেই কোন রান না করে ফিরেন হাসান আলি। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ রানআউট হন ৪৩ বলে ৩৯ করে। শেষদিকে হারিস রউফ ১৪ বলে ১৬ আর শাহিন শাহ আফ্রিদি ১২ বলে করেন অপরাজিত ১৩ রান। আর তাতে পাকিস্তান পৌঁছে ২৮৬ রানে। নেদারল্যান্ডসের বেস ডে লিডে ৬২ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট।
রান তাড়া করতে নামা নেদারল্যান্ডসের ম্যাঙ ও দাউদকে ফিরিয়ে ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন হাসান আলি। ১২তম ওভারে বল হাতে নিয়েই দলকে উইকেট এনে দেন ইফতিখার আহমেদ। ২১ বলে ১৭ রান করা কলিন আকারম্যানকে ফেরান তিনি। তৃতীয় উইকেটে বেস ডি লেডে আর বিক্রমজিৎ গড়েন ৭৬ বলে ৭০ রানের লড়াকু জুটি। কিন্তু ২৪তম ওভারে বিক্রমজিৎ ৬৭ বলে ৫২ রান করে শাদাব খানের শিকার হওয়ার পর ব্যাকফুটে চলে যায় নেদারল্যান্ডস। ২৬তম ওভারে এসে তিন বলের মধ্যে দুই ডাচ ব্যাটারকে ফেরান হারিস রউফ। তেজানিদামানুরুকে ৫ আর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে ০ রানে ফেরত পাঠান হারিস। আর এতে ১৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে বেস ডি লেড লড়াই শুরু করেন। কিন্তু সেই লড়াই দলকে বড় হার থেকে বাঁচাতে পারেনি। ৪১ ওভারে ২০৫ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তানের হারিস রউফ ৪৩ রানে নেন ৩টি উইকেট। ৩৩ রানে ২ উইকেট শিকার হাসান আলির।