চট্টগ্রাম জিপিওতে ডাক পরিবহনের একটি গাড়িতে (কাভার্ডভ্যান) বালু পরিবহনের এক ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ডাক বিভাগের কাপ্তাই রোডে চলাচলকারী গাড়িতে বালু পরিবহনের ঘটনা ধরা পড়ার পর এই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
সূত্র জানায়, ডাক বিভাগের চট্টগ্রাম ডিভিশন অফিসের আওতাধীন চট্টগ্রাম–কাপ্তাই রুটে ডাক পরিবহন করে ঢাকা মেট্রো ঠ–১৪–০৯২৮ নম্বরের একটি গাড়ি। এই গাড়ির (কাভার্ডভ্যান) নিয়মিত ড্রাইভার ডাক বিভাগের কর্মচারী আশরাফুল ইসলাম। প্রতিদিন ওই গাড়িতে করে চট্টগ্রাম–কাপ্তাই রোডে দেশ–বিদেশের মূল্যবান ডকুমেন্ট, পার্সেল এবং মানি অর্ডারের টাকা–পয়সা পরিবহন করা হয়। ডাক পরিবহনের ওই গাড়িতে টাকা রাখার বিশেষায়িত একটি ভল্টও রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে এই গাড়িতে করে বালু পরিবহন করার ঘটনা ধরা পড়ে। ডাক পরিবহনের গাড়িতে বালু পরিবহন করতে দেখে অনেকে বিষ্মিত হন। জিপিও কম্পাউন্ডে বালু ভর্তি গাড়িটি দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে পোস্ট মাস্টার জেনারেলকে বিষয়টি লিখিতভাবেও জানানো হয়েছে। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানেন না। ডাক বিভাগের গাড়িতে বালু পরিবহনের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, অফিস ছুটির পরে এসব গাড়ি জিপিওর নিয়ন্ত্রণে গ্যারেজে থাকে।
চট্টগ্রাম জিপিও’র একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি গতকাল সিনিয়র পোস্ট মাস্টার মো. মহসিন উদ্দিনকে জানালে তিনি পোস্ট মাস্টার জেনারেল পূর্বাঞ্চলকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আশ্বস্ত করেছেন যে, বিষয়টির কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতরাতে মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন এবং সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর দ্রুত লাইন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।
ড্রাইভার আশরাফুল ইসলামের ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বালুভর্তি গাড়িটির একাধিক ছবি দৈনিক আজাদীর হাতে রয়েছে।