মহৎ কাজগুলোর মধ্যে ডাক্তারি পেশা হল অন্যতম। অনেকের স্বপ্ন থাকে ডাক্তার হওয়ার। আর তাই অনেক পরিশ্রম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে ডাক্তার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে মানুষের সেবা করার অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত হন। শহরের নাম করা হসপিটালগুলোতে তাদের চেম্বার থাকে। যদিও তারা নিজস্ব সিডিউল মেনে চলেন। নির্দিষ্ট একটা সময়ে আসেন এবং সময় শেষ হলে চলে যান। দুই কিংবা তিন ঘণ্টা সময় দিয়ে থাকেন। কারণ তাদের অন্য হসপিটালে সিডিউল করা থাকে। সাতশত/এক হাজার টাকা ভিজিট দিয়ে রোগী একটা প্রেসক্রিপশন পায়। ডাক্তারগণ প্রেসক্রিপশনে যা লিখেন তা অনেকসময় ফার্মাসিস্টরা বুঝতে পারেন না।
কারণ প্রায় ডাক্তারদের হাতের লেখা এতই অস্পষ্ট ও অগোছালো থাকে যে, অনেক সময় বুঝতে সমস্যা হয়ে যায়। ফলে ভুল ঔষধ চলে যাওয়া স্বাভাবিক একটা বিষয়। তাই রোগী সুস্থ হওয়ার চেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু এটার দায়ভার কে নিবে হসপিটাল না ডাক্তার? এমনকি রোগী দ্বিতীয়বার যে ভালো–খারাপের কথা জানান দিবে তারা সে সুযোগ পর্যন্ত দেন না ।
পরে দেখা করতে বলেন কিন্তু সেখানে আবার পাঁচশত টাকা ভিজিট দিতে হয় রোগীদের। আমার অবস্থান যে পরিস্থিতির শিকার তা অন্যদের ক্ষেত্রেও ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাই এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ হল কেবল ডাক্তারদের নৈতিকতার পথ অবলম্বন। পাশাপাশি প্রশাসন কর্তৃক প্রত্যেক ডাক্তারের কম্পিউটারাইজড প্রেসক্রিপশন করার প্রতি বিশেষ নজর বাড়ানো একান্ত অপরিহার্য হিসেবে বিবেচনা করছি।
ফারহান আহমেদ নুরনবী
সূবর্ণচর, নোয়াখালী।