ডলু-হাতিয়া-হাঙর খালে ভাঙন লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জনজীবনে ভোগান্তি

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৩১ মে, ২০২৫ at ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লোহাগাড়ায় ডলু, হাতিয়া ও হাঙর খালের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে পানি। ওই এলাকার বাসিন্দারা বসতঘর বিলীন হওয়ার আশংকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

জানা যায়, আধুনগর ইউনিয়নে হাতিয়ার খালে রুস্তমের পাড়া সড়কের মঞ্জুরের দোকানের উত্তর পাশে, দক্ষিণ আধুগনগর হিন্দু পাড়া ও সিকদার পাড়ায় নতুন ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া ডলু খালে সরর্দনী পাড়া, হাঙর খালে ফরিয়াদিরকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ও ধলিবিলা আইজানি বাপের পাড়ায় পুরাতন ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে আতংকের মধ্যে রয়েছেন ওইসব এলাকার লোকজন। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানির ঢলে বিলীন হয়ে যেতে পারে বহু বসতঘর। গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার সিংহভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যার ফলে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কেও মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

এছাড়া উপজেলার আমিরাবাদ, লোহাগাড়া সদর, পুটিবিলা, কলাউজান, চুনতি, পদুয়া, চরম্বা ও বড়হাতিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডলু, টংকাবতী, হাঙ্গর, হাতিয়া, কুলপাগলি, বোয়ালিয়া, থমথমিয়া ও সুখছড়ি খালসহ বিভিন্ন ছড়ার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব খালের অনেক স্থানে ভাঙনের আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য নাছির উদ্দিন জানান, ধলিবিলা এলাকায় হাঙর খালের ভাঙন সংস্কার না করায় পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এতে ৭/৮টি বসতঘর বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়া ফরিয়াদিরকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে হাঙর খালের ভাঙনে লোকালয়ে পানি ঢুকে মুন্সির পাড়া, সিকদার পাড়া, দরগা মুড়া, নিজতালুক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, টানা বর্ষণে হাতিয়ার খালে নতুন করে ৩টি ভাঙন দেখা দিয়েছে। রুস্তমের পাড়া সড়ক ভাঙনের ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরো বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিতে পারে। এছাড়া আধুনগর সর্দারনী পাড়ায় ডলু খালের ভাঙন সংস্কার না হওয়ায় পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। পানি বৃদ্ধি পেলে বসতঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, বাতাস ও টানা বর্ষণে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপন করা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের লাইনগুলো বন্ধ রয়েছে। প্রায় ২০টির মতো বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গেছে। এছাড়া গাছের ডালপালা পড়ে অনেক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সংস্কার পূর্বক দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভা
পরবর্তী নিবন্ধগুমাইবিলে উন্মুক্ত বিচরণ করছে সহস্রাধিক মহিষ, হচ্ছে বেচাকেনা