লোহাগাড়ার আধুনগরে ডলুখালের চর কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হরিণা মিয়া পাড়া এলাকায় খাল থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। যার ফলে খালের দুই পাড় ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ডলুখাল থেকে প্রতিদিন এক্সেভেটর দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কাটা হচ্ছে। অবৈধভাবে মাটি কাটার ফলে বর্ষাকালে খালের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে প্রতি বছর বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও সড়কসহ নানা স্থাপনা। এছাড়া খালের গতিপথ পরিবর্তনের পাশাপাশি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে খাল পাড়। মাটি পরিবহনে ডাম্পট্রাক চলাচল করায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক।
গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চর কাটার স্থানে খালের এক পাশে আধুনগর ইউনিয়নের মিয়া পাড়া ও অপরপ্রান্তে পুটিবিলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়া অবস্থিত। এক্সেভেটর দিয়ে ডলুখালের চর কেটে ডাম্পট্রাক ভর্তি করা হচ্ছে। কয়েকটি ডাম্পট্রাক ঘটনাস্থলে দেখা গেছে।
এক্সেভেটর দিয়ে একটির পর একটি ডাম্পট্রাকে মাটি ভর্তি করে আধুনগর হাসপাতাল সড়ক হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। চর কাটার স্থানের অপর প্রান্তে বর্ষায় খালের পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ক্ষত চিহ্ন দেখা গেছে। এভাবে চর কাটতে থাকলে আগামী বর্ষায় খালের পাড় বিলীন হয়ে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডলু খালের চর না কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু নিষেধ অমান্য করে অবৈধভাবে চরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল জানান, অবৈধভাবে ডলু খালের চর কেটে মাটি বিক্রির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সম্প্রতি ওই স্থান থেকে চর কেটে মাটি বিক্রির অপরাধে এরশাদ নামে এক ব্যক্তিকে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।