ডলারের উল্লম্ফন শেষ কোথায়?

নুরুল কবির চৌধুরী | রবিবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ২য় মাস অর্থাৎ আগস্ট থেকেই শুরু হয় জনগণের নাভিশ্বাস। একদিকে জ্বালানী তেলের শতকরা ৪২ থেকে ৫২ ভাগ মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে কার্ব মার্কেটে ডলারের নর্তন-কুর্দন। কার্ব মার্কেটের সাথে শুরু হয় আন্তঃব্যাংক রেইটেরও উত্থান। প্রান্তিক জনগণ ক্রমবর্ধমান উচ্চ মূল্যের যাঁতাকলের ঘেরে পড়ে যায়।

আমরা যদি পিছনে ফিরে তাকাই দেখা যায়, ২০০৩ সনে ভাসমান মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা প্রবর্তিত হবার পর থেকেই ডলার-মূল্যের নড়াচড়া শুরু হয়। তবে শুরু ছিল অত্যন্ত ধীর গতির। ৫৮ টাকার ডলার ৭২ টাকায় পৌঁছেছিল ৩ বছর সময়ে অর্থাৎ ২০০৬ সনে। তখনও কিন্তু দেশব্যাপী হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। দেশের সেই অর্থনৈতিক দুর্দিনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস এসোসিয়েশ (বাফেদা) ২০০৫ সনের ১০ই আগস্ট ডলারের ক্রয়মূল্য ৬৫/৫০ এবং বিক্রয় মূল্য ৬৬ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে বাফেদার সেই উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখেনি। পরে ডলার মূল্য ৭২ টাকায় স্থিতিশীল হয়েছিল।

এবার ডলার যে অনিয়ন্ত্রিত আচরণ শুরু করেছে ২০০৩ সনে ডলারের মূল্যবাজার ব্যবস্থার উপর ছেড়ে দেয়ার পর অতীতে বাংলাদেশ আর কোনোদিন এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। বেশ অনেক বছর ডলারের আন্তঃব্যাংক মূল্য ৮৪/৮৫ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু অস্থিরতা শুরু হয় ২০২২ সনের জুলাই/আগস্ট থেকে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিত্য নতুন কৌশলী নির্দেশও ডলারের এই মূল্য বৃদ্ধি রোধ করতে পারছে না। সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আন্তঃব্যাংক দর ১০৮ টাকা এবং কার্ব মার্কেটে ১১৫ টাকায় উন্নীত হয়।

কিন্তু কেন ডলারের এই অনিয়ন্ত্রিত আচরণ? কোনো তত্ত্বগত অনিয়ম হচ্ছে কি? চলুন এব্যাপারে আমরা কিছু আলোচনা করি। মুদ্রার বিনিময় হার হ্রাস-বৃদ্বির জন্য অর্থনীতিবিদগণ ৬টি থেকে ৯টি তত্ত্বগত কারণ উল্লেখ করে থাকেন। তবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে যে সকল অর্থনৈতিক উপাদান টাকার অবমূল্যায়নের গতি ত্বরান্বিত করেছে আমি সে সব বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।

১) বাণিজ্য ও সেবা খাতে ঘাটতি বিশ্ব ব্যাংকের ডাটা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০ সনে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসাবে আমাদের উদ্বৃত্ত ছিল ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার যা ২০২১ অর্থ বছরে ১৫.৫৬ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতিতে পরিণত হয়। ফাইবার টু নেশন নামক এক অনলাইন সাময়িকীতে দেখা যায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাণিজ্য খাতে আমাদের রেকর্ড পরিমান ঘাটতি ৩৩ বিলিয়ন ডলার ও চলতি হিসাবে ১৮.৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। এই ঘাটতির পেছনে অন্যতম কারণ হল বাংলাদেশের গতিশীল অর্থনীতির প্রয়োজনে আমদানীর পরিমান বৃদ্ধি ও রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।

২) প্রবাসী রেমিটেন্সের নিম্নগতি: বাংলাদেশ মূলতঃ আমদানী নির্ভর একটি দেশ। রপ্তানী বাস্কেটেও তেমন কোনো পণ্য নেই। সবে ধন নীলমনি গার্মেন্টস এবং প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সই একমাত্র ভরসা। তবে বিপত্তি বাধায় প্রবাসী রেমিট্যান্স। যতই কার্ব মার্কেটে দর বৃদ্ধি হয়, রেমিট্যান্স প্রবাহ ততই কমতে থাকে।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বোনাস প্রদান ছাড়াও প্রবাসীদের জন্য ডলারের মূল্য ১০০ টাকায় নির্ধারণ করে। ফলে ফেব্রুয়ারি ’২২ মাসের ১৪৯৫ বিলিয়ন ডলারের স্থলে আগস্ট মাসে ২০৩৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। সেপ্টেম্বর মাসে আবারও রেমিট্যান্সের জন্য ১০৮ টাকা ও রপ্তানীর জন্য ৯৯ টাকায় ডলার মূল্য পুনঃ নির্ধারিত করা হয়। বর্তমানে প্রতি ডলার ১০২ টাকা হিসাবে আমদানী মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে। তবে হুন্ডির চাহিদা এত বেশি যে বাফেদা কর্তৃক রেমিট্যান্স রেইট বাড়ানোর সাথে সাথে হুন্ডিওয়ালারাও তাদের ক্রয় মূল্য বাড়িয়ে দেয়। এ যেন এক গোলক ধাঁধাঁ।

৩) মোবাইল ব্যাংকিং: এক প্রবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে মধ্যপ্রাচ্যে অনেকের আকামা মেয়াদোর্ত্তীণ হয়ে যাওয়ার পরও তারা অবৈধভাবে থেকে যায়। তাদের বৈধতা না থাকার কারণে তারা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণ করতে পারে না। তাদের কর্ম স্থলের আশে পাশে ওঁত পেতে থাকা বিকাশ, নগদ, রকেট এবং অন্যান্য আর্থিক সেবা দানকারি সংস্থার এজেন্ট এর মাধ্যমে ব্যাংকিং বিড়ম্বনা ব্যাতিরেকে খুব সহজেই হুন্ডির মারফত রেমিট্যান্স প্রেরণ করে থাকে। ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এভাবে দেশ বছরে ৭.৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হয়।

৪) ট্রেড বেস্‌ড মানি লন্ডারিং বা আন্ডারিনভয়েসিং/ ওভার ইনভয়েসিং: সবাই একমত যে, ট্রেড বেস্‌ড মানি লন্ডারিং হল ডলার পাচারের অন্যতম কারণ। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা হল হ্রাসকৃত শুল্কে ক্যাপিটাল মেসিনারী, বন্ডেড ওয়ার হাউসের শুল্ক-মুক্ত আমদানী এবং প্রণোদনা প্রাপ্ত পণ্য রপ্তানীর ক্ষেত্রেই শুধু ওভার ইনভয়েসিং এর ঘটনা ঘটে। ওভার ইনভয়েসিং এর চাইতে আন্ডার ইনভয়েসিংই ডলার পাচারের প্রধানতম কারণ। তবে একথা সত্য যে সিংহ ভাগ আন্ডার ইনভয়েসিং এর ঘটনা আমদানী ও রপ্তানী উভয় খাতে ঘটে। আন্ডার ইনভয়েসিং এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমদানীকারক চায় পণ্যের ইউনিট মূল্য ইনভয়েসে কম প্রদর্শন পূর্বক শুল্ক ও অন্যান্য ট্যাঙ ফাঁকি দিয়ে মূল্য ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে বাজারজাত করবে। রপ্তানীকারক বেচারা মনে করে সে ক্রেতার শর্তানুযায়ী আন্ডার ইনভয়েসিং এ রাজী না হলে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যদেশের ব্যবসায়ীরা সুযোগটি লুফে নেবে। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই আমদানি পণ্যের মত রপ্তানী পণ্যেও আন্ডার ইনভয়েসিং আছে, এমনকি গার্মেন্টস রপ্তানীও আন্ডার ইনভয়েসিং ছাড়া হয় না। উন্নত দেশের গার্মেন্টস আমদানীকারকরাও আন্ডার ইনভয়েসিং ব্যতীত পণ্য খরিদ করে না।

৫) দক্ষ জনবলের অভাব: এক তথ্যে জানা যায় দক্ষ জনবলের অভাব হেতু আনুষ্ঠানিক/ অনানুষ্ঠানিকভাবে বিদেশি বিশেষ করে ভারতীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হয় ও তাদের বেতন-ভাতা বাবত ২০২০ সনে ১০ বিলিয়ন ডলার হুন্ডির মারফত পাচার হয়েছে। এখন তো পরিমাণ আরও বেশি হবে।

৬) ভ্রমণ ও চিকিৎসা খাতে ব্যয়: এক তথ্যে প্রকাশ ২০১৭ সনে শুধু ভারতে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য চার বিলিয়ন ডলারের বেশি হুন্ডি মারফত পাচার হয়েছে।

৭) স্বর্ণ পাচারঃ প্রবাসীদের অনেকে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বেশি দামের আশায় স্বর্ণ নিয়ে আসে।

৮) ব্যাংক ঋণ ও পুঁজি পাচার: ব্যাংক মালিকদের সিন্ডিকেট এবং নিজেদের মধ্যে যোগসাজশে একে অপরের ব্যাংক থেকে স্ব নামে/ বেনামে বিপুল পরিমান ঋণ গ্রহণ, সুদ মওকুফ, ঋণের অপব্যবহার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃ্‌ক খেলাপী ঋণ পরিশোধে অত্যন্ত নমনীয় নীতি গ্রহণ অর্থাৎ ডাউন পেমেন্টের সীমা ১০% থেকে ২% ভাগে অবনমন, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা মোট ৪ বারে প্রায় ২৯ বছরে উন্নীতকরণ প্রভৃতি পদক্ষেপ বস্তুত বিদেশে পুঁজি পাচারেই সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। আর এই পুঁজি পাচার সংঘটিত হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে যা রেমিট্যান্স প্রবাহে বিরাট প্রভাব ফেলছে। এছাড়া ঋণের টাকা ফটকা লাভের আশায় কার্ব মার্কেটে বিনিয়োগ করে ডলারের অস্বাভাবিক চাহিদা সৃষ্টি করার ফলেও মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে।

এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড এর অপব্যবহার: রিজার্ভ থেকে প্রদত্ত এই ফান্ডেরও অপব্যবহার হয়েছে প্রচুর। সাধারণতঃ কাঁচামাল আমদানীর জন্য গার্মেন্টস রপ্তানীকারকদেরকে এই ফান্ড থেকে ঋণ দেওয়া হয় যা রপ্তানীমূল্য থেকে ডলারে পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু কিছু ঋণগ্রহীতা কোনো রপ্তানিই করেনি। ফলে ডলারের মূল্য অপরিশোধিত থেকে যায়। শোনা যাচ্ছ সম্পূর্ণ বেআইনী ও অনৈতিকভাবে ডলারের পরিবর্তে বাংলাদেশি টাকায় কেউ কেউ ইডিএফ ঋণ পরিশোধ করছে। ইডিএফ এর নামে রিজার্ভের অর্থ নিয়ে যারা নয়-ছয় করেছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। সম্প্রতি আই এম এফ এর প্রকাশিত নীতি অনুযায়ী এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে স্থানান্তরিত সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এভাবে আমাদের ফরেঙ রিজার্ভ থেকে আরও ৭.৫০ বিলিয়ন ডলার কমে গেল।

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রতীয়মান হয় যে, হুন্ডির ব্যাপক তাণ্ডবই আমাদের টাকার সক্ষমতার ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে। ডলারের মূল্য ক্রম উর্দ্ধগামী হচ্ছে ও টাকা ধীরে ধীরে মূল্যমান হারাচ্ছে।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতেই হবে।

সংকট থেকে পরিত্রাণের উপায়:- ১) আমদানীতে আন্ডার ইনভয়েসিং প্রতিহত করার লক্ষ্যে কাস্টম এসেসমেন্ট ভ্যালু ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে হবে যা আন্ডার ইনভয়েসিং এর পরিমাণ কমিয়ে আনবে। এভাবে ধীরে ধীরে কাস্টম এসেসমেন্ট ভ্যালু বৃদ্ধি করলে মূল্যস্ফীতি নিয়ে হাউ কাউ হবে না। জনগণ আস্তে আস্তে অভ্যস্থ হয়ে যাবে এবং সরকারও বর্ধিত রাজস্ব পাবে।

তবে আপাতত: রপ্তানীতে আন্ডার ইনভয়েসিং রোধ করার কোনো বিকল্প আমি দেখছি না। আমাদের দেশ থেকে সুবিধা না পেলে ক্রেতা অন্য দেশে চলে যাবে। চাকরি থেকে অবসরের পর আমি আমদানী-রপ্তানী ব্যবসা শুরু করি। আমার এক বিদেশি ক্রেতা একবার ২১০০ ডলার হুন্ডি মারফত পাঠাতে চেয়েছিল। আমি বললাম দুবাই থেকে ফ্যামিলি মেইন্টিন্যান্স হিসাবে ব্যাংকের মাধ্যমে আমার কাছে পাঠাও। এ টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে গিয়ে অনেক বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়েছিল। অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্পেশাল পারমিশন নিয়ে আমি সে টাকা নিতে পেরেছিলাম। এরপর পত্রিকায় প্রকাশিত আমার এক নিবন্ধে প্রস্তাব করেছিলাম যে, রপ্তানীর আন্ডার ইনভয়েসিং এর বিদেশি মুদ্রা ফ্যামিলি মেইন্টিন্যান্স বা অন্য কোনো খাত দেখিয়ে ব্যাংক এর মাধ্যমে আনয়ন করার সুযোগ দেওয়া হোক ও এই ক্ষেত্রে যেন কোনো ডকুমেন্ট চাওয়া না হয়। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা গেলে রপ্তানীর ক্ষেত্রে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা বৈধ পথে দেশে আসবে।

২) বহির্মুখী রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গার্মেন্টস সেক্টরে মধ্য ও উচ্চ পদ পর্যায়ে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে হবে।

৩) একই বছর একই দেশে বার বার আনন্দ ভ্রমণে গমন রোধ করতে হবে। চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমনের প্রাক্কালে মেডিকেল বোর্ড থেকে অনাপত্তি সনদ সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করতে হবে যাতে অহেতুক চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত হয়।

৪) ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে নমনীয় নীতি গ্রহণের ফলে রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট প্রভাবশালী শিল্পপতি/ব্যবসায়ীরা ঋণের টাকা বিদেশে পাচার করার ফলে প্রবাসী- রেমিট্যান্স প্রবাহে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণের ব্যবহার যাচাই জোরদার করলে এই প্রবণতা বহুলাংশে কমে আসবে।
পুঁজি পাচার/ ঋণের টাকা পাচার কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে আশা করি রেমিট্যান্স প্রবাহ পূর্বের গতি ফিরে পাবে এবং ডলারের উল্লম্ফন রোধ করা যাবে।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ডাইরেক্টর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্মরণ : আইনজীবী মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী
পরবর্তী নিবন্ধমাল্টা ও ড্রাগন বাগানে ঝুলছে ডলার!