ঠেলে ঠেলে গাড়ি পার

টানা বর্ষণে বিধ্বস্ত সড়ক

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৩০ জুন, ২০২২ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ঠেলা গাড়ি নয়, ইঞ্জিনচালিত গাড়িকেই নেওয়া হচ্ছে ঠেলে ঠেলে। স্থবির হয়েছে সব বড় যান চলাচল। ধসে গেছে সড়কের অনেক অংশ। ঝুঁকি নিয়ে সড়ক ও খাল পার হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। এমন অসংখ্য চিত্রে ফুটে ওঠে চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নের বর্তমান দুর্ভোগ অবস্থা।

সরেজমিন ধোপাছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে এ ইউনিয়নের রাস্তাঘাট বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ায় প্রায় প্রত্যেকটি সড়ক হয়ে আছে ক্ষত-বিক্ষত। ফলে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

এছাড়া এই ইউনিয়নের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনকারী দোহাজারী মাস্টারঘোনা-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সড়ক ও খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়ক ছাড়াও অভ্যান্তরীর প্রায় প্রত্যেকটি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও সড়কের পাশ ধ্বসে পড়ায় স্বাভাবিক যোগাযোগে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় সিএনজি অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারছে না।

জানা যায়, ধোপাছড়ি ইউনিয়নের সড়কগুলো পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি প্রধানত সড়কের উপর দিয়েই চলাচল করে। এ কারণে অধিকাংশ সড়কের মধ্য থেকে মাটি সরে গিয়েছে, ভেঙ্গে পড়েছে সড়কপাশ। অনেক জায়গায় ব্রিজ, কালর্ভাটের পাশ ধ্বসে পড়েছে। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি তীব্র গতিতে ধোপাছড়ি খাল দিয়ে শঙ্খ নদে প্রবেশ করায় ধোপাছড়ি খালের শঙ্খেরকূলসহ বেশ কয়েকটি স্থানেও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম বলেন, বৃষ্টির পানি সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রায় প্রত্যেকটি সড়ক কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাস্টারঘোনা-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সড়কের জিরোবক ব্রিজের পরে ছিকন ঝিরি নামক স্থানে ছোট কালভার্টের পাশে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের মাটি সরে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। কিছু কিছু মোটরসাইকেল চলাচল করলেও চলতে পারছে না সিএনজি অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনগুলো।

এ অবস্থায় ধোপাছড়িবাসীকে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে কোথাও যেতে চাইলেও যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া এখানে উৎপাদিত সবজি পরিবহনের জন্য ট্রাক, মিনিট্রাক ও পিকআপ প্রবেশ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে এখানকার চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা র্ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ জুনায়েদ আবছার চৌধুরী বলেন, বৃষ্টিতে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের যে সমস্থ রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে মাস্টারঘোনা-চিরিংঘাড়া-ধাপাছড়ি সড়কটিতে বর্তমানে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। উক্ত সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করতে নিয়োজিত ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়নের অভ্যান্তরে যেসব সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধথমকে আছে কাস্টমসের এডিআর কার্যক্রম
পরবর্তী নিবন্ধমহেশখালী-কক্সবাজার রুটে আসছে ‘পদ্মার ফেরি’