ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৩ কর্মকর্তার অপসারণ ও চাকরির দাবিতে স্থানীয়দের মেটাম অবরোধ

মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

মহেশখালী প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৮ জুলাই, ২০২৫ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেন্টাওশান লিমিটেডের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে ও প্রকল্পে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরির দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় মাতারবাড়ী এলাকাবাসী’ ব্যানারে গতকাল সোমবার বিকাল ৫টায় মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান ফটকের সামনে সড়ক অবরোধ করে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়দের দাবি, সিন্ডিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে নামেবেনামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে নিজেদের চাকুরির পাশাপাশি বহিরাগত লোক এনে ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেয়া ও নিজেরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নিচ্ছেন ওই তিন কর্মকর্তা। মানববন্ধনে পেন্টাওশান লিমিটেডের তিন কর্মকর্তাকোয়ান্টিটি সার্ভেয়ার আনিছুর রহমান, অফিস সহকারী আলআমিন ও মো. হাসানের বিরুদ্ধে চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ থাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের অপসারণের দাবি জানানো হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, মাতারবাড়ীর বাসিন্দা মোহাম্মদ রশিদ, আইয়ুব আলী, আব্দুল করিম, আব্দু রহমান, সাইফুল ইসলাম, জিয়াবুল হক কাজল ও শহিদ হাসান। মানববন্ধনে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, দিল মোহাম্মদ, রিয়াজুল হক, মোহাম্মদ খোকন, পেটানুল ইসলাম, মোহাম্মদ সুমন, আব্দুল করিম, মোহাম্মদ ইসলাম, আব্দু রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ করা না হলে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘেরাও করে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

উল্লেখ্য, পেন্টাওশান লিমিটেডের ওই তিন কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সুজন স্থানীয়দের বিক্ষোভ প্রদর্শনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন নিয়ে এসে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে স্থানীয়রা চাকরি পাচ্ছে না। তিনি বলেন, যাদের বাপদাদার সম্পত্তির উপর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত হয়েছে, চাকরিতে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিকে স্থানীয় কিছু শ্রমিক নেওয়া হলেও পরে তাদেরকে ছাটাই করা হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপবিত্র আশুরা পালিত
পরবর্তী নিবন্ধআগে বিচার সংস্কার ও নতুন সংবিধান, এরপর নির্বাচন : নাহিদ