নিজের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিভিন্ন মন্দিরে একযোগে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ঘটনা শুধু ন্যক্কারজনকই নয়, তা রহস্যজনক, পূর্ব পরিকল্পিত এবং কলঙ্কজনক। এর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।’ বিএনপি মহাসচিব নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে সরকারি খরচে মন্দিরগুলো সংস্কারসহ পুনর্নির্মাণের দাবিও জানান। খবর বিডিনিউজের।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, ‘যে সকল মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তার বেশিরভাগই সড়কের পাশে স্থাপিত ছিল। রাতে সাধারণত টহল পুলিশ থাকে। কিন্তু সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিও রহস্যজনক। তাদের গাফিলতিতে দুর্বৃত্তরা অনায়াসে এত বিপুল সংখ্যক মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটাতে পেরেছে বলে সাধারণের ধারণা। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।’ শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর রাত পর্যন্ত সময়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে কয়েকটি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর হয়। এভাবে রাতের আঁধারে মন্দিরের পর মন্দিরে ভাংচুর করা চালিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন এখনও তাদের চিহ্নিত করতে পারেনি। বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত। হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির, প্রতিমা ভাংচুর করে যারা সামপ্রদায়িক ও সামাজিক সমপ্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তারা নরকের কীট। আমি অবিলম্বে বালিয়াডাঙ্গীর মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার সাথে জড়িতদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’