কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহতা উঠে এসেছে এক যাত্রীর বর্ণনায়। মো. রবিন নামের ওই যাত্রী যাচ্ছিলেন ঢাকায়। কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগার সিন্ধুর এক্সপ্রেস ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ার পরপরই ঘটে দুর্ঘটনা।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কন্টেনার ট্রেন ক্রসিং লাইনে এগার সিন্ধুর এক্সপ্রেসের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয়। রবিন বলেন, ট্রেনের তৃতীয় বগিতে ছিলাম, ট্রেন ছাড়ার দুই মিনিট হইছে, তখনও গতি উঠেনি, এর মধ্যে বিশাল এক ঝাঁকুনি। আল্লাহ আল্লাহ করে কোনো মতে বের হয়ে দেখি সামনের দুটি বগি উল্টে পড়ে আছে। রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষ বগিগুলো থেকে বের হচ্ছে। অনেকের হাত কাটা, কারো মাথা ফাটা, কারো পা কাটা।
গতকাল পৌনে ৪টায় এ দুর্ঘটনায় ১৭ জনের প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। নিজে বেঁচে যাওয়া রবিন ট্রেন থেকে বেরিয়ে অনেককে উদ্ধারে সহায়তাও করেন। তিনি বলেন, এর মধ্যে আমার এক বন্ধুকে খুঁজে পাচ্ছি না। পরে তাকে পা কাটা অবস্থায় পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে আসি।