ট্রেন চালকদের বেতন-ভাতার চেক এল আগের নিয়মে

প্রজ্ঞাপন বাতিল না হলে ৩১ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:১৯ অপরাহ্ণ

আল্টিমেটামের পর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ট্রেন চালকদের (লোকোমাস্টার) ডিসেম্বরের বেতন-ভাতা আগের নিয়মে পরিশোধের জন্য গতকাল চেক জমা হয়েছে। রবিবার বেতন পেতে যাচ্ছেন লোকোমাস্টাররা। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন (প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলন্ত ট্রেনে দৈনিক ১০০ কিলোমিটার কিংবা তার চেয়েও বেশি দায়িত্ব পালন করলেও ওই দিনের বেতনের ৭৫ শতাংশের বেশি মাইলেজ ভাতা পাবেন না সংশ্লিষ্ট রানিং স্টাফরা আর মাস শেষে এই মাইলেজ মূল বেতনের বেশি হবে না) ৩০ জানুয়ারির মধ্যে বাতিল করা না হলে ৩১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির কর্মকর্তারা। গতকাল এ বিষয়ে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা চট্টগ্রাম, পাকশী, লালমনিরহাট ও ঢাকা বিভাগে বৈঠক করেছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান ভূইয়া আজাদীকে জানান, আমাদের আল্টিমেটামের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের ডিসেম্বর মাসের বেতন নিশ্চিত করেছেন। আজকে (গতকাল) চেক জমা হয়েছে। রবিবার আমরা বেতন পাবো বলে হিসাব বিভাগ থেকে জানিয়েছে।
আমাদের সংগঠনের চট্টগ্রাম, পাকশী, লালমনিরহাট ও ঢাকা বিভাগের আজকের বৈঠকে (গতকাল বৃহস্পতিবার) সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে গত বছরের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে ৩১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কর্মবিরতিতে চলে যাবেন রানিং স্টাফরা। গতকাল বৃহস্পতিবারের ৪ বিভাগের মিটিং শেষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজি বরাবারে এই আল্টিমেটামের বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকালের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের বেতন-ভাতা আগের ন্যায় পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, ব্রিটিশ আমল থেকে রেলওয়ে রানিং কর্মচারীরা রেলওয়ে কোডে ‘পার্ট অব পে’ হিসেবে নিয়মিত মাসিক বেতন ও অর্জিত মাইলেজ সংযুক্তভাবে পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে হঠাৎ মাইলেজ বেতন বাজেট থেকে আলাদা করে টিএ খাতে সংযুক্ত করা হয়। টিএ খাতে অর্থের বরাদ্দ কম থাকায় মাইলেজ নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা। পরে জটিলতা নিরসনে ‘মাইলেজ ভাতা’ নামে আলাদা কোড খোলা হয়। যেখানে আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমে রানিং কর্মচারীদের অর্জিত মাইলেজ সর্বোচ্চ ৩ হাজার মাইল বা ৩০ দিনের বেশি হতে পারবে না বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে রানিং স্টাফদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদর্শক ছাড়াই আজ শুরু হচ্ছে বিপিএল
পরবর্তী নিবন্ধইয়াবা : স্বামী-স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৪