অফিস–আদালত চালু হলেও এখনো চালু হয়নি সারা দেশের ট্রেন। কবে চালু হবে তার কোনো নির্দেশনাও এখনো আসেনি। তাই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সরকার কারফিউ জারির পর গত ১৯ জুলাই থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন (আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল ও কমিউটার), কন্টেনারবাহী ট্রেন এবং তেলবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৩ দিন পর গত ১ আগস্ট থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু করে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন ফের বন্ধ করা হয় ট্রেন চলাচল। ২ আগস্ট থেকে কন্টেনারবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ছাত্র বিক্ষোভের পর ৩ তারিখের পর কন্টেনারবাহী ট্রেনও বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল গত ২৩ জুলাই থেকে। কিন্তু ৩ আগস্ট থেকে তেলবাহী ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, সব ধরনের ট্রেন চলাচল এখনো বন্ধ আছে। ট্রেন চালানোর ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা এখনো আসেনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খান এক বার্তায় জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে সারা দেশের ট্রেন চলাচল।