ট্রেনে যাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ

চট্টগ্রামে রেল সেবা সপ্তাহ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গতকাল সারাদেশে রেলওয়ের সেবা সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে। ঢাকায় রেলওয়ের সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি।
অপরদিকে চট্টগ্রামে রেলওয়ের সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বেলুন উড়িয়ে রেল সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
রেল সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনের পর ফজলে করিম চৌধুরী এমপি ট্রেনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং যাত্রীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, রেল সেবা সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে যাত্রীদের সেবা আরো বৃদ্ধি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ১৫ নভেম্বর রেলওয়ের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। ১৮৬২ সালের এই দিনে ব্রিটিশ সরকার সর্বপ্রথম এ অঞ্চলে ট্রেন চালু করেছিল। একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরি। এক সময় রেলপথ অবহেলিত ছিল। রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্ত ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেওয়ার পরে রেলওয়ের উন্নতি সাধিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায়
বাংলাদেশ রেলওয়েকে আজকে আধুনিক যাত্রীবান্ধব পরিবহনে পরিণত করা হয়েছে। স্বল্প খরচে আধুনিক উন্নত মানের নিরাপদ যাত্রা হিসেবে দিন দিন রেল সারাদেশের মানুষের কাছে এক নম্বর পছন্দের বাহনে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। আগামী বছর জুনে কঙবাজার রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। আখাউড়া দিয়ে আগরতলা ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
এ সময় তিনি রেল কর্মকর্তাদের রেলওয়ে স্টেশন ও স্টেশন অঙ্গন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ট্রেনসমূহের সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করা, যাত্রীদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা, প্লাটফরম, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, ওয়েটিং রুম, রিটায়ারিং রুম ও টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ট্রেনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, যাত্রী অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, যাত্রীদের প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন, স্টেশনে টিকেট কালোবাজারীদের প্রতিহত করা, স্টেশন ও ট্রেনে রক্ষিত ফাস্ট এইড বঙ সংরক্ষণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। একই সাথে ক্যাটারিং সার্ভিসে বিক্রিত খাদ্যের মূল্য ও মান বজায় রাখারও নির্দেশনা দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদক মামলার সাক্ষ্য চোরাচালান মামলাতেও গ্রহণ
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়ের পাদদেশে টায়ার পুড়িয়ে কালো তেল তৈরি