চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের লোহাগাড়া অংশে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতিটিকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে স্থানান্তর করা হয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের উদ্ধারকারী ট্রেনের মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাতিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করে চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাস্থল চুনতি অভয়ারণ্য এলাকার রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ থাকায় আহত হাতিকে উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল।
পরে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সহায়তায় আজকে ভোর ৪টা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে হাতির মেরুদণ্ডের হাড়ে দুইটি ভাঙন নিশ্চিত করা গেলেও পরবর্তীতে আরো ভাঙনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাই ক্রেনের মাধ্যমে অধিক সাবধানতায় উদ্ধারকারী ট্রেনে উঠানো হয়। এ সময় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন উপস্থিত ছিল।
হাতিটির শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেনারি কর্মকর্তা জুলকার নাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, চলন্ত ট্রেনের সাথে ধাক্কা খেয়ে হাতিটির মাথায়, ডান পা ও মেরুদণ্ডে তিনটি অংশে ভাঙনের অস্তিত্ব দেখা গিয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আনা হচ্ছে। সর্বাত্মক চেষ্টা মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে তবে হাতিটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
উল্লেখ্য গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকামুখী কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন “পর্যটক এক্সপ্রেস” হুইলসেল দিয়ে চুনতি বন্যহাতি চলাচলের জন্য নির্মিত ওভারপাসের পকেট গেইট দিয়ে রেললাইন অতিক্রম করছিল। এ সময় একটি বন্যহাতির পাল ওভারপাসের উত্তর পাশে রেললাইন পার হচ্ছে দেখে ট্রেনটির গতি কমিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে রেল কতৃপক্ষ তারপরও সব হাতি পার হতে পারলেও একটি রেললাইনে থেকে যায় এবং ওই হাতিটি ট্রেনের সাথে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হয়।