ঢাকা থেকে জামালপুরে যাওয়া একটি ট্রেনের ছাদ থেকে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে। চলন্ত ট্রেনে ডাকাতের হামলায় তারা নিহত হন বলে ট্রেনযাত্রীরা জানিয়েছেন। ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর জামালপুর পৌঁছলে ছাদে লাশ দুটি পাওয়া যায়। এছাড়া রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মিতালী এলাকার মো. ওয়াহিদের ছেলে মো. নাহিদ (৪০)। নিহত অন্য পুরুষ ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। খবর বিডিনিউজের।
রেলওয়ে পুলিশের সার্কেল ইন্সপেক্টর (ময়মনসিংহ) গুলজার হোসেন বলেন, ‘ট্রেনটি জামালপুরে এলে ছাদ থেকে রক্ত পড়তে দেখে ভেতরে থাকা কয়েকজন যাত্রী পুলিশ এবং গার্ডকে জানায়। এরপর ছাদে উঠে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়ে জামালপুর সদর হাসপাতালে নিলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিববহন নিষিদ্ধ হলেও ভিড় হলে তা প্রায়ই দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের ভিড় বেশি ছিল।
কমলাপুর থেকে ট্রেনের ছাদে ওঠা ফারুক নামের এক যাত্রী জামালপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার পর ট্রেনের ছাদের যাত্রীরা ডাকাত দলের কবলে পড়েন। চার-পাঁচ জনের ডাকাত দলটি নাহিদসহ (পরে নিহত) অনেক যাত্রীর কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে চলে যায়।
ট্রেনটি রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ রেল স্টেশন ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফারুক ও নাহিদসহ কয়েকজন যাত্রী এক হয়ে ছাদে ডাকাতদের খোঁজা শুরু করেন। ফারুক বলেন, ‘তারা ডাকাতদের চিনতে পেরে কিছু বলার আগেই ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে যাত্রী নাহিদ, রুবেল ও অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন।’ রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি জামালপুর রেল স্টেশনে পৌঁছলে ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তিনজনকে নামিয়ে আনা হয়।