ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া নগরীতে ব্যবসা করা যাবে না : মেয়র

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা

| মঙ্গলবার , ৫ জুলাই, ২০২২ at ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান, নগরবাসির সেবাদান করাই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কাজ। চসিকের রাজস্ব আয় থেকে নগরবাসির সেবা করতে হয়। সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আয়ের বড়খাত হচ্ছে গৃহকরসহ বিভিন্ন মার্কেট ও স্থাপনার ভাড়া। এসকল মার্কেট ও স্থাপনা থেকে কর্পোরেশনের আয় খুবই নগণ্য। চসিক ২০১৭ সালে বিভিন্ন মার্কেট ও স্থাপনার ভাড়া ২৫% বৃদ্ধি করলেও বর্তমান সময়ের মূল্যায়নে কর্পোরেশনের মার্কেট ও স্থাপনার ভাড়া যুগোপযোগী করা বাঞ্চনীয় হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আমরা উভয়পক্ষ সমঝোতার ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারণ করতে চাই যাতে কোন পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তিনি বলেন, কর্পোরেশনের অনেক মার্কেট ও স্থাপনার সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি এই সমস্ত মার্কেটের সংস্কার পর্যায়ক্রমে করা হবে বলে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।

গতকাল সোমবার বাটালি হিলস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিক পরিচালিত মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকার্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্ব সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, এষ্টেট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বহদ্দারহাট ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ইউসুফ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, আলহাজ্ব মো. নাজিম উদ্দিন, মোরশেদ উদ্দিন আহমদ, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. আলী হোসেন, মো. আজিজুল হক, মো. ইউনুছ, মো. আমিনসহ বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

মেয়র আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গৃহকরের উপর সম্পুর্ণ নির্ভরশীল। আমরা আরও কিছু খাত থেকে নতুনভাবে কর আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শুধুমাত্র গৃহকর দিয়ে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব নয়, তদুপরি গৃহকর স্থানীয় পর্যায়ে না হলে নগর বাসির ভোগান্তি হয় এই বিষয়টিও আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি। নগরীতে ব্যবসা করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে, লাইসেন্স ছাড়া কেউ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। অথচ লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অনেক ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছেন এমনকি চসিক পরিচালিত মার্কেটের দোকান মালিকরাও অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স করা থেকে বিরত রয়েছেন এটা বেআইনী। শহরে ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এখনো পর্যন্ত যারা ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করেন নাই বা নবায়ন করেন নাই তারা অনতিবিলম্বে নতুন ট্রেড লাইসেন্স করবেন। ট্রেড লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে চসিক আইনে ভ্রাম্যমাণ আদলতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের অবহিত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেট্রোপলিটন চেম্বার পরিচালনা পর্ষদের সভা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৩০