থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তথ্য দিলেও শনিবার ভোরে দেশ দুটির মধ্যে সংঘাতের খবর মিলেছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি কেবল তখনই সম্ভব, যখন কাম্বোডিয়া সব বাহিনী প্রত্যাহার করবে এবং সীমান্ত থেকে স্থলমাইন সরাবে। আমাদের ভূখণ্ড ও জনগণের আর নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই, এমন অবস্থায় পৌঁছানো পর্যন্ত থাইল্যান্ড সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।
বিষয়টি আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আজ সকালে আমাদের পদক্ষেপই তার প্রমাণ দিয়েছে। বিবিসি লিখেছে, সীমান্তে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলের চেষ্টা চালিয়ে থাইল্যান্ডের সেনারা রাতভর গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
নতুন সংঘর্ষে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় পাশে প্রায় ৭ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। এদিকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর শুক্রবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, উভয় দেশই শান্তির জন্য প্রস্তুত। আজকে সন্ধ্যা থেকে গোলাগুলি বন্ধ হবে এবং অক্টোবরের চুক্তি অনুসরণ করবে। তবে অনুতিন বলছেন, থাইল্যান্ড আগ্রাসী নয়; যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে প্রথমে কাম্বোডিয়াকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার ও সীমান্ত থেকে স্থলমাইন সরাতে হবে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক্স পোস্টে বলেছে, শনিবার তাদের ওপর থাইল্যান্ড বিমান হামলা চালিয়েছে। থাইল্যান্ডের এফ–১৬ বিমান দিয়ে সাতটি বোমা ফেলা হয়েছে। সামরিক বিমান এখনও বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি। এমনকি থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীও চলমান থাকার কথা স্বীকার করেছে। দীর্ঘমেয়াদি এই সীমান্ত সংঘাত গত ২৪ জুলাই তীব্র হয়, কম্বোডিয়া রকেট হামলা চালায়, তার পাল্টায় বিমান হামলা চালায় থাইল্যান্ড। সংঘাতের জন্য উভয় দেশই একে অপরকে দায়ী করছে। এরপর অক্টোবর মাসে ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। প্রায় ৮০০ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ রয়েছে। ১৯০৭ সালে ফরাসি নকশাকারীরা এ সীমানা ঠিক করে দেয়, তখন ফ্রান্স সেখানকার ঔপনিবেশিক শাসক ছিল।












